পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রোচ্য ও পাশ্চাত্য মানুষ কাঠ-পাথরের যন্ত্র-তন্ত্র দিয়ে কাজ চালাত, চামড়া বা পাতা পরে দিন কাটাত, পাহাড়ের গুহায় বা পাখীর বাসার মত কুঁড়ে ঘরে গুজরান করত । এর নিদর্শন সৰ্ব্বদেশের মাটির নীচে পাওয়া যাচ্ছে এবং কোনও কোনও স্থলে সে অবস্থার মানুষ স্বয়ং বৰ্ত্তমান । ক্রমে মানুষ ধাতু ব্যবহার করতে শিখলে, সে নরমধাতু—টিন আর তামা । তাকে মিশিয়ে যন্ত্রতন্ত্র অস্ত্রশস্ত্র করতে শিখলে। প্রাচীন গ্রীক বাবিল মিশরীরাও অনেক দিন পর্যন্ত লোহার ব্যবহার জানত না, যখন তারা অপেক্ষাকৃত সভ্য হয়েছিল, বই-পত্ৰ পৰ্য্যন্ত লিখত, সোণ-রূপে ব্যবহার করত তখন পর্য্যন্ত । আমেরিকা মহাদ্বীপের আদিম-নিবাসীদের মধ্যে মেক্সিকো পেরু মায়া প্রভূতি জাতি অপেক্ষাকৃত সুসভ্য ছিল, প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড মন্দির নিৰ্ম্মাণ করত, সোণা-রূপোর খুব ব্যবহার ছিল ( এমন কি ঐ সোণরূপোর লোভেই স্পানি লোকেরা তাদের ধ্বংস সাধন করলে ) । কিন্তু সে সমস্ত কাজ চকুমকি পাথরের অস্ত্রদ্ধারা অনেক পরিশ্রমে করতো, লোহার নাম গন্ধও জানতো না। আদিম অবস্থায় মানুষ তীর ধনুক বা জালাদি উপায়ে জন্তু, জানোয়ার, মাছ মেরে খেত, ক্রমে চাষ సాly