পাতা:প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য - দ্বাদশ সংস্করণ.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য এবং দাতব্যালয়সকল কেড়ে নিতে কটিবদ্ধ হয়েছে । যদি মূৰ্খ চাষার দল না থাকৃত, তাহলে কৃশ্চানী তার ঘৃণিত জীবন ক্ষণমাত্র ধারণ করতে সমর্থ হত না এবং সমূলে উৎপাটিত হত ; কারণ, নগরস্থিত দরিদ্রবর্গ এখনই কৃশ্চানী ধৰ্ম্মের প্রকােশ্ব শক্ৰ ! এর সঙ্গে ইসলামের তুলনা কর। মুসলমান দেশে যাবতীয় পদ্ধতি ইসলাম ধৰ্ম্মের উপরে সংস্থাপিত এবং ইসলামের ধৰ্ম্মশিক্ষকেরা, সমস্ত রাজকৰ্ম্মচারীদের বহুপূজিত এবং অন্য ধর্মের শিক্ষকেরাও সম্মানিত । পাশ্চাত্যদেশে লক্ষ্মী সরস্বতীর এখন কৃপা একত্রে । শুধু ভোগের জিনিষ সংযোগ হলেই এরা ক্ষান্ত নয়, কিন্তু সকল কাজই একটু মুচ্ছবি চায়। খাওয়াদাওয়া ঘর-দোর সমস্তই একটু স্বচ্ছবি দেখতে চায়। আমাদের দেশেও ঐ ভাব একদিন ছিল, যখন ধন ছিল ! এখন একে দারিদ্র্য তার ওপর আমরা ইতোনষ্টস্ততোত্ৰষ্ট’ হয়ে যাচ্ছি। জাতীয় যে গুণগুলি ছিল তাও যাচ্ছে—পাশ্চাত্যদেশেরও কিছুই পাচ্ছিনি ! চলাবস' কথাবাৰ্ত্তায় একট। সেকেলে কায়দা ছিল, তা উৎসন্ন গেছে, অথচ পাশ্চাত্য কায়দা নেবারও সামর্থ্য নেই। পূজা পাঠ প্রভৃতি যা কিছু ছিল তা ত আমরা বানের জলে দিচ্ছি,—অথচ কালের উপযোগী একটা ১২১