পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুধৰ্ম্মের সার্বভৌমিকতা বিহারী শ্ৰীগৌরাঙ্গের ভক্তগণের উন্মাদনৃত্যে যোগদানই করুন, বড়গেলে তেঙ্গেলে (১) প্রভৃতি শাখাযুক্ত বিশিষ্টাদ্বৈতমতাবলম্বী আচাৰ্য্যগণের পাদমূলেই উপবেশন করুন, অথবা মাধব সম্প্রদায়ের আচার্য্যগণের বাক্যই শ্রদ্ধাসহকারে শ্রবণ করুন, গৃহী শিখদিগের ‘ওয়া গুরুকি ফতে’ (২) রূপ সমরবাণীই শ্রবণ করুন, অথবা উদাসী ও নিৰ্ম্মলাদিগের গ্রন্থসাহেবের (৩) উপদেশই শ্রবণ করুন, কবীরের সন্ন্যাসী শিষ্যগণকে সৎসাহেব ( ৪ ) বলিয়া অভিবাদনই করুন, অথবা ( ১ ) প্রথমোক্তটি সংস্কৃত ভাযায় রচিত শাস্ত্র অর্থাৎ প্রাচীন বেদ বেদান্ত প্রভৃতি ও আধুনিক শ্ৰীভান্য প্রভৃতিকে অধিক প্রামাণ্য জ্ঞান করেন । দ্বিতীয়োক্তের দিব্যপ্রবন্ধ নামক তামিল ভাষায় রচিত গ্রন্থের বিশেষ পক্ষপাতী। আরো অনেক অনেক বিষয়ে উভয়ের মতভেদ আছে । (২) গুরুর জয় হউক । ( ৩ ) উদাসী ও নিৰ্ম্মলা দুইটি নানকপন্থী সম্প্রদায়। প্রথমটি নানাকের পুত্ৰ শ্ৰীচঁাদ কর্তৃক স্থাপিত ; দ্বিতীয়টি গুরুগোবিন্দ স্থাপিত। গ্রন্থ সাহেব—নানকপন্থীদের ধৰ্ম্মগ্রন্থ । ইহাতে নানক হইতে গুরুগোবিন্দ পর্য্যন্ত দশগুরুর উপদেশ লিখিত আছে। শিখেরা এই গ্রন্থকে দেবতার স্তায় পূজা করিয়া থাকে। সাহেব শব্দের অর্থ মাননীয় । ( s ) পূজনীয় সাধু।