পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অদরকারী কাপড় চোপড় এবং সেই বালাপোষখান। মেজবোঠানের হাত দিয়ে তোমাকে পাঠিয়ে দিয়েছি— সেগুলো পেয়েছ ত? না পেয়ে থাক ত চেয়ে নিয়ো। সেগুলো একবার লক্ষ্মীর হাতে পড়লে সমস্ত মেজবোঠানের আলমারির মধ্যে প্রবেশ করবে। বেলির জন্যে আমি একটা কাপড় আর পাড় কিনে মেজবোঠানদের সঙ্গে পাঠিয়েছি— সেটা এতদিনে অবিশ্যি পেয়েছ— খুব টুকটুকে লাল কাপড়— বোধ হয় বেলিবুড়িকে তাতে বেশ মানাবে— পাড়টাও বেশ নতুন রকমের— না? মেজবোঠানও বেলির জন্যে তার একটা প্রাইজের কাপড় নিয়েচেন— নীলেতে শাদাতে— সেটাও বেলু রাণুকে বেশ মানাবে। সেটা যে রকমের ভাবুনে, নতুন কাপড় পেয়ে বোধহয় খুব খুসী হয়েছে। আমাকে কি সে মনে করে? খোকাকে ফিরে গিয়ে কি রকম দেখব কে জানে। ততদিনে সে বোধ হয় দুটো চারটে কথা কইতে পারবে। আমাকে নিশ্চয় চিন্‌তে পারবে না। হয়ত এমন ঘোর সাহেব হয়ে আস্‌ব তোমরাই চিনতে পারবে না। আমার সেই আঙ্গুল কেটে গিয়েছিল এখন সেরে গেছে— কিন্তু খুব দুটো গর্ত্ত হয়ে আছে— ভয়ানক কেটে গিয়েছিল। অনেক দিন বাদে কাল পর্শু দুদিন স্নান করেচি— আবার পর্শু দিন প্যারিসে পৌঁছে নাবার বন্দোবস্ত করতে হবে। সেখেনে টার্কিষ্‌ বাথ্‌ বলে একরকম নাবার বন্দোবস্ত আছে তাতে খুব করে পরিষ্কার হওয়া যায়— বোধ হয় আমার “য়ুরোপ প্রবাসীর পত্রে” তার বিষয় পড়েচ— যদি সময় পাই ত সেইখেনে নেয়ে