পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলেছিলুম, আমি কোথাও যাব না, এখানেই বিয়ে হবে । বিয়ে জোড়াসাকোতে হয়েছিল ।” “সে কি, আপনি বিয়ে করতেও যশোর যান নি ?” “কেন যাব ? আমার একটা মান নেই ?” “ভীষণ অহংকার ।” “তা হোক, তারা তোমাদের মত আধুনিক তো ছিলেন না, এসেছিলেন তো !” o ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ-আলোচনায় স্বভাবত বিমুখ হইলেও, শেষ বয়সে কালিম্পঙ-এ মৈত্রেয়ী দেবীর সঙ্গে আলাপনে বিশ্বভারতীর প্রসঙ্গে কখনো কখনো পারিবারিক প্রসঙ্গ ও পত্নী মৃণালিনী দেবীর কথা স্মরণ করিয়াছেন ; মৈত্রেয়ী দেবীর ‘মংপুতে রধীন্দ্রনাথ’ হইতে তাহার প্রাসঙ্গিক অংশগুলি এখানে সংকলন করা গেল : “...এই যে বিশ্বভারতী এত পরিশ্রমে গড়ে তুলেছি, আমার অবর্তমানে এর আর মূল্য কি কিছুই থাকবে না ? এর পিছনে যে কী পরিশ্রম আছে তা তো জান না— কী দুঃখের সে-সব দিন গেছে যখন ছোটোবেীর গহনা পর্যন্ত নিতে হয়েছে। চারিদিকে ঋণ বেড়ে চলেছে, ঘর থেকে খাইয়ে পরিয়ে ছেলে যোগাড় করেছি, কেউ ছেলে তো দেবেই না— গাড়ি ভাড়া করে অন্তকে বারণ করে আসবে। এই রকম সাহায্যই স্বদেশবাসীর কাছ থেকে পেয়েছি । আর তখন চলেছে একটির পর একটি মৃত্যুশোক, সে দুঃখের ইতিহাস সম্পূর্ণ লুপ্ত হয়ে গেছে। লোকে জানে উনি শোঁখীন বড়োলোক। সম্পূর্ণ নিঃসম্বল হয়েছিলুম, আমার সংসারে কিছুমাত্র বাবুয়ান ছিল না । ছোটোবেীকেও অনেক ভার সইতে হয়েছে, জানি সে কথা তিনি মনে করতেন না।” মৈত্রেয়ী দেবী লিখেছেন– “শারীরিক মানসিক যে দুঃখগুলি অত্যন্ত ব্যক্তিগত, সে সম্বন্ধে তিনি চিরদিন নীরব থাকতেন । র্তার মুখে তার ›ፃ 8