পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ভগিনী অমলা দাশ রবীন্দ্রনাথ ও তাহার পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন । কবিপত্নী মৃণালিনী দেবী ছিলেন তাহার প্রিয়সখী । সংগীতপ্রিয় অমলা দাশ তাহার স্বকণ্ঠের জন্ত কবির বিশেষ স্নেহভাজন ছিলেন ; রবীন্দ্রনাথ তাহাকে আগ্রহের সহিত নিজের গান শিখাইয়াছিলেন ; এই রকম অনেকগুলি গান তিনি রেকর্ডে গাহিয়া রবীন্দ্রসংগীতের প্রথম মহিলা শিল্পী রূপে প্রতিষ্ঠা অর্জন করেন । শ্ৰীশান্তিদেব ঘোষ তাহার ‘রবীন্দ্রসঙ্গীত বিচিত্রা’ (১৯৭২) গ্রন্থে ২১টি রেকর্ডের একটি তালিকা প্রকাশ করিয়াছেন । মৃণালিনী দেবীর সহিত অমলা দাশের সখীত্বের সুন্দর চিত্র অঁাকিয়াছেন তাহার ভগিনী উমিলা দেবী তাহার ‘কবিপ্রিয়া’ স্মৃতিকথায় । রবীন্দ্রনাথের একটি গানেও তাহা বিধৃত আছে, পুলিনবিহারী সেন –কর্তৃক সম্পাদিত রবীন্দ্রায়ণ, দ্বিতীয় খণ্ডে (১৩৬৮), সংকলিত ভাগিনেয়ী সাহানা দেবীর কবির সংস্পশে হইতে তাহ প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় উদ্ভূত হইল : ‘কবিপত্নীর সঙ্গেই ছিল মাসিমার সবচেয়ে বেশি ভাব । তাকে কণকীমা বলে ডাকতেন । এই দুই সখীর একত্র অন্তরঙ্গ ভাবে গল্লালাপাদির একটি চিত্র আছে রবীন্দ্রনাথের গানে, গানটি হচ্ছে— ওলো সই, ওলো সই, আমার ইচ্ছে করে তোদের মতো মনের কথা কই । ছড়িয়ে দিয়ে পা দুখানি কোণে বসে কানাকানি, কতু হেসে কভু কেঁদে চেয়ে বসে রই । এ গানটির কথা মাসিমার মুখেই শুনেছি, আর গানটিও তাকে অনেকবার গাইতে শুনেছি।’