পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানিতাম । তিনি কত সময়ে আশ্রমের রান্নাঘরে আসিয়া আমাদের জন্যও কত কি যে রান্না করিতেন । মনে পড়ে, সে-সময়ে আমরা আননো নাচিয়া বেড়াইতাম ও কখন তিনি আমাদের ডাকিবেন ও থাইতে দিবেন তাহার জশু অধীর হইয়া থাকিতাম । -শাস্তিনিকেতনের স্মৃতি” *প্রবাসী’, ভাদ্র ১৩৪৭, পৃ. ৫৭১-৭২ ১০. যোগেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায় ...একটা বিষয়ের উল্লেখ না করিলে আশ্রমের বর্ণনা অসম্পূর্ণ থাকিয়া যাইবে । ধীরেনের মুখে শুনিয়াছিলাম আশ্রমে এক বার তাহার জর হইয়াছিল । রবীন্দ্রবাবুর পত্নী সেই সংবাদ শুনিয়া ধীরেনকে ছাত্রবাস হইতে নিজের কাছে লইয়া যাইবার জন্য একজন ভৃত্যকে পাঠাইয়া দেন। জরটা তিন-চারি দিন ছিল, সে-সময় তাহাকে দুধ ও জল-সাবু খাইয়া থাকিতে হইয়াছিল। দশ বৎসরের বালক জলসাগু খাইতে আপত্তি করিলে রবীন্দ্রবাবুর পত্নী তাহাকে কাছে বসাইয়া পিঠে হাত বুঝাইতে বুলাইতে লক্ষ্মী অামার, যাদু আমার, এইটুকু খেয়ে ফেল, তাহলে তোমার জর ভাল হয়ে যাবে।” প্রভৃতি বলিয়া সাগুখাওয়াইতেন । আশ্রমে কোন বালকের পীড়া হইলে তিনি রোগীকে উপরে আপনার কাছে আনাইয়া স্বয়ং তাহার সেবা শুশ্রীষা করিতেন। পরবর্তী কালে দেখিয়াছি, ধীরেন যখনই কবি-পত্নীর কথা বলিত, তখনই তাহার নয়নযুগল সজল হইয়া উঠিত । “বিশ্বভারতীর অঙ্কুর” ‘প্রবাসী', মাঘ ১৩৪৬, পৃ. ৫১• A Bobr