পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আইবুড়োভাতের নেমন্তশ্ন করলেন । মা খুব খুশি, একে যশোরের মেয়ে, তায় রথীর মা মার সম্পর্কের বোন। খুব ধুমধামে খাওয়ার ব্যবস্থা হল। রবিকাকা খেতে বসেছেন, উপরে আমার বড়োপিসিমা কাদম্বিনী দেবীর ঘরে, সামনে আইবুড়োভাত সাজানো হয়েছে— বিরাট আয়োজন । পিসিমারা রবিকাকাকে ঘিরে বসেছেন, এ আমাদের নিজের চোখে দেখা । রবিকাকা দৌড়দার শাল গায়ে, লাল কি সবুজ রঙের মনে নেই, তবে খুব জমকালো রঙচঙের । বুঝে দেখো, একে রবিকাকা, তায় ওই সাজ, দেখাচ্ছে যেন দিল্লীর বাদশা । তখনই ওঁর কবি বলে খ্যাতি, পিসিমারা জিজ্ঞেস করছেন, কী রে, বউকে দেখেছিস, পছন্দ হয়েছে, কেমন হবে বউ, ইত্যাদি সব । রবিকাকা ঘাড় হেঁট করে বসে একটু করে খাবার মুখে দিচ্ছেন, আর লজ্জায় মুখে কথাটি নেই । সে মূতি তোমরা আর দেখতে পাবে না, বুঝতেও পারবে না বললে –ওই আমরাই যা দেখে নিয়েছি । ‘ঘরোয়া’, ১৩৭৭, পৃ. ১০৬-০৭ ৫. হেমলতা ঠাকুর > রবীন্দ্রনাথের বিবাহ হয় শীতকালে অগ্রহায়ণ মাসে। দিন-তারিখ ২৪ অগ্রহায়ণ ১২৯০ । বিবাহ হয়েছিল তার নিজের বাড়িতে । বিয়ে করতে যেতে হয় নি তাকে শ্বশুরবাড়ি । পরিবারের বড়ো ছেলের ও ছোটো ছেলের বিয়ে বাপ-মা’র ঘটা করে দিয়ে থাকেন । তাদের প্রথম কাজ ও শেষ কাজ বলে । রবীন্দ্রনাথ মহর্ষিদেবের শেষ পুত্র । মা নাই— আড়ম্বরে উদাসীন পিতা তখন হিমালয়বাসী । বিয়েতে ঘটা করে কে । ঘরের ছেলে নিতান্ত সাধারণ ঘরোয়াভাবে রবীন্দ্রনাথের বিয়ে হয়েছিল । ধুমধামের সম্পর্ক ছিল না তার মধ্যে । পারিবারিক বেনারসী শাল ছিল একখানি— যার যখন ➢ ©ፃ