পাতা:হিন্দুধর্ম্মের নবজাগরণ - দ্বিতীয় সংস্করণ.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- হিন্দুধৰ্ম্মের ক্রমাভিব্যক্তি বংশসমূহ হইতে, বিকৃত বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া আরস্ত হইল । আর্য্যাবর্তের সেই ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়গণ কোথায় গেলেন ? তাহাদের একেবারে লোপ হইল, কেবল এখানে ওখানে ব্রাহ্মণত্ব বা ক্ষত্ৰিয়ত্বাভিমানী কতকগুলি মিশ্র জাতি রহিল। আর তাহদের এতদ্দেশপ্রসূতম্ভ সকাশাদগ্রজন্মনঃ। স্বং স্বং চরিত্রং শিক্ষেরন পৃথিব্যাং সৰ্ব্বমানবা ॥’ (মনু )—‘এই এই দেশ (ব্রহ্মবৰ্ত্ত বা ব্রহ্মর্ষিদেশ ) প্রসূত ব্রাহ্মণগণের নিকট হইতে পৃথিবীর সকল মানুষ আপন আপন চরিত্র শিক্ষা করিবে, এইরূপ অহঙ্কত, আত্মশ্লাঘাময় উক্তি সত্বেও তাহাদিগকে অতি বিনয়ের সহিত দীনবেশে দাক্ষিণাত্যবাসিগণের পদতলে বসিয়া শিক্ষা করিতে হইয়াছিল। ইহার ফলস্বরূপ । ভারতে পুনরায় বেদের অভু্যদয় হইল—বেদাস্তের যে পুনরুত্থান হইল, এরূপ বেদান্তের চর্চা আর কখন হয় নাই, গৃহস্থেরা পৰ্য্যন্ত আরণ্যকপাঠে নিযুক্ত হইলেন। বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারে ক্ষত্রিয়েরাই প্রকৃত নেতা ছিলেন। এবং দলে দলে তাহার বৌদ্ধ হইয়াছিলেন । সংস্কার ও ধৰ্ম্মান্তরকরণের উৎসাহে সংস্কৃত ভাষা উপেক্ষিত হইয়া লোকপ্রচলিত ভাষাসমূহের চর্চা প্রবল হইয়াছিল। আর অধিকাংশ ক্ষত্রিয়ই বৈদিক সাহিত্য ও সংস্কৃত 《어