দেবগণের মর্ত্যে আগমন । «$)ჯ,აბ আর এক ব্যক্তি উচ্চ রবে কাঁদিয়া কহিল “ ওম, মাগো ! প্রাণ যায় যে ! আহ ! আমার কনিষ্ঠ ভ্রাতা ক্রমান্বয়ে পত্র লিখচে–“ দাদা ! মাকে গঙ্গাযাত্রা করান হয়েচে । তিনি ২ । ৪ দিন বাচেন কিনা সন্দেহ। তাহার একান্ত ইচ্ছা অন্তিমকালে একবার আপনাকে দেখেন। অতএব পত্রপাঠ সত্বর আসিবেন, কোন মতে বিলম্ব করবেন না “ কিন্তু ছুটি দিচ্চে না। বল্পে বলে এ বৎসর পীড়ায় তোমার সাত দিন কামাই থাকায় চুটি পেতে পার না । তবে যদি একেবারে কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করে চলে যেতে পার চলে যাও। উঃ! কি করি ?—আমার দেখচি ত্রিশঙ্কু রাজার স্বর্গারোহণ হলো । না গেলে মাকে দেখতে পাব না । গেলে চাকরী যাবে,একটা বৃহৎ সংসার অনাহারে মারা যাবে।” এই সময় একটা যুবাকে আসিতে দেখিয়া তাহার আগ্রহের সহিত জিজ্ঞাসা করিল “দাদা! তোমার ছুটির কি হল ?”যুবা কহিল “বল্পে পূজার বন্ধে বাট গিয়ে বিয়ে করে এসে । তোমরা আমাদের বিনামুমতিতে বিবাহের দিন স্থির ও সমস্ত আয়োজন কর কেন ?" দেবতারা এখান হইতে অডিট অফিসে যাইয়া উপস্থিত হইলেন। তাহারা দেখেন একটা গৃহ মধ্যে ঘট ঘট ঘটাঘট শব্দে টিকিট প্রস্তুত হইতেছে। বরুণ কহিলেন “ দেবরাজ আমরা যে টিকিট খরিদ করিয়া টেণে উঠি চেয়ে দেখ সেই টিকিট প্রস্তুত হইতেছে । আর গাড়ী হইতে নামিয়া যে টিকিট প্রত্যৰ্পণ করি ওদিকে দেখ সেই সমস্ত টিকিট অগ্নিতে ভস্ম করিয়া ফেলিতেছে । এই সময় অফিসের ভিতরে ক্ৰন্দনের শব্দ উঠিল । দেবতারা শুনিলেন যেন সকলে চীৎকার করিয়া বলিতেছে—“ ওরে বাপরে! পুটুলে ক্ষেপল পড়লোরে! পড়লো । 螺 এই শব্দ শ্রবণে দেবগণ ও কাশীবাবু সবিস্ময়ে চাহিতেছেন এমন সময়ে দেখেন ৪০ । ৫০ জন জন কেরাণী কাদতে কাদতে বাহির হইতেছেন। কাশী। মহাশয়ের কঁচেন কেন ? কেরাণীগণ কহিল “ সৰ্ব্বনাশ হয়েছে মহাশয়! মস্ত একটা রিডক্সনের হুকুম এলো। আহা ! অনেক কষ্টে চাকরী হলে ভেবেছিলাম ছদিন থাকবে, কিন্তু এমি কপাল ১৫ দিনও ভোগ করতে পেলেম না ! রেলওয়ে চাকরী যেন পদ্ম পত্রের জল, যেন কলেরা রোগের রোগী,প্রাতে কিছু জানি না,স্নান
