পাতা:কল্পদ্রুম তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বর্ণ, রৌপ্য ও ভারতের স্বায় ব্যয়। 8>> যাহা উদ্ধৃত্ত থাকিবে, তাহ অন্যকে দাও-সে তোমার জন্য ভাবিবে, তোমার উন্নতির উপায় দেখাইয়া দিবে। নাগা প্রভৃতি পাৰ্ব্বতীয় জাতিগণ মৃগয়াদির দ্বারা অতি কষ্টে যাহা কিছু উপার্জন করে, সে অতি সামান্য । তাহ নিজ নিজ অভাব মোচন করিতেই নিঃশেষিত হয়, কিছুই উদ্ধৃত্ত থাকে না। বিনিময়প্রথা এবং সঞ্চয় না থাকিলে কোন দ্রব্য হস্তান্তরিত হয় না। সম্বৎসরে তুমি যদি চাসে এক শত মণ ধান্য পাও, আর যদি তাহার পঞ্চাশ মণে তোমার সম্বৎসরের খাবার চলে, তবে তুমি বাকি পঞ্চাশ মণ সঞ্চয় করিতে পার। কিন্তু, ঐ পঞ্চাশ মণ সঞ্চিত রাখিলেই তোমার অবস্থার উন্নতি হইতে পারে না, উহার সঙ্গে বিনিময় চাই । তুমি বিশ বিঘ ভূমিতে বিনা লাঙ্গলে চাস দিয়া এক শত মণ ধান্য পাইয়া থাক। আমি ভাবিয়া ভাবিয়া লাঙ্গল প্রস্তুত করিয়া দিলাম, তখন তুমি লাঙ্গল দ্বারা চাস দিয়া দুই শত মন ধান্য পাইলে । আমার লাঙ্গলের নিমিত্ত তুমি যদি আমাকে পঞ্চাশ মণ ধান্য দাও, তবু তোমার পঞ্চাশ মণ লাভ রহিল। তুমি আমাকে আহার যোগাইলে, আমি তোমার চাসের উন্নতি করিয়া দিলাম। এইরূপ বিনিময় কাজ যত বাড়িবে সমাজের ততই উন্নতি হইবে। আবার বিনিময় কাজ প্রবল হইয়া উঠিলে পরস্পরের সাহয্য গ্রহণও আবশ্যক হয় ; সুতরাং সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হইয়া উঠে। অসভ্য অবস্থায় মানুষের অভাব অতি স্বল্প। সামান্য খাদ্য-সামগ্ৰী, সামান্য পরিচ্ছদ , ও সামান্য বাসস্থান হইলেই যথেষ্ট । এই সকলের নিমিত্ত কাহারও আনুকূল্যের অপেক্ষা করিতে হয় না। গিরিগুহা, বৃক্ষের কোটর কিম্বা পর্ণশালা হইলেই আবাস গৃহ হইল। এ সকল নিৰ্ম্মাণের জন্য কাহারও সহায়তার প্রয়োজন নাই। মৃগয়ালদ্ধ পশুর মাংসে আহার চলে, চৰ্ম্মে পরিচ্ছদ হয়। অতএব জিগীষু শক্রর বৈরনির্যাতন ভিন্ন অন্য সময়ে অসভ্য জাতিরা কদাচ একত্র মিলিত হইয় থাকে। অভাব নূতন উদ্ভাবনের জনয়িত। কোন কাজের অসুবিধা হইলে কিসে সেই অসুবিধা নিরাকৃত হইবে তাহার উপায় চিন্তা করিতে হয় । উপায় দেখিতে দেখিতে দিন দিন এক একটা নূতন বিষয়ের স্বাক্ট হয়। দেখ মৃগয়ার সময় বধ্য পণ্ড অনেক দূরে আছে, নিকটে যাইলে সে প্রাণভয়ে পলায়ন করিবে, কিম্বা তাহার হস্তাকে আক্রমণ করিবে, অতএব দূর হইতে তাহাকে নষ্ট করিতে হইবে । কিন্তু এমন কোন উপায় নাই যাহাতে দুর