বোধ হ’লো, তিনি এই ব্যাপারে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হ’লেন—তোমার প্রতি যে টান নেই, এমন তো দেখা গেল না। এমন কি, আমি চলে’ আস্বার সময় তিনি আমাকে ব’ল্লেন, সতীশ আজকাল আমাদের সঙ্গে দেখা কর্তে আসে না কেন? আরো একটা সুখবর আছে সতীশ, তোমাকে যে আপিসে কাজ করিয়ে দিয়েছি, সেখানকার বড়ো সাহেব তোমার খুব সুখ্যাতি ক’র্ছিলেন।
সতীশ। সে আমার গুণে নয়। তোমাকে ভক্তি করেন বলেই আমাকে এত বিশ্বাস কবেন।
শশধর। ওরে বামচরণ, তোর মা ঠাকুরাণীকে একবার ডেকে দে তো।
সুকুমারীর প্রবেশ
সুকুমারী। কি স্থিব ক’র্লে?
শশধর। একটা চমৎকার প্ল্যান ঠাউরেচি।
সুকুমারী। তোমার প্ল্যান যত চমৎকার হবে, সে আমি জানি। যা হো’ক, সতীশকে এ বাড়ি থেকে বিদায় ক’রেচো তো?
শশধর। তাই যদি না ক’র্বো, তবে আর প্ল্যান কিসের? আমি ঠিক ক’রেচি, সতীশকে আমাদের তরফ মাণিকপুর লিখে পড়ে’ দেবো—তা হলেই সে স্বচ্ছন্দে নিজের খরচ চালিয়ে আলাদা হ’য়ে থাকতে পার্ বে। তোমাকে আর বিবক্ত ক’র্ বে না।
সুকুমারী। আহা, কি সুন্দর প্ল্যানই ঠাউরেচো। সৌন্দর্য্যে আমি একেবারে মুগ্ধ! না, না, তুমি অমন পাগলামি ক’র্তে পারবে না, আমি বলে’ দিলেম।