পাতা:শোধবোধ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
শােধ-বােধ
চতুর্থ দৃশ্য

 শশধর। মন্মথ সেই কথাই ব’লতো। আমরাই তো সতীশকে অন্যরূপ বুঝিয়েছিলেম। এখন ওকে দোষ দিই কি করে’?

 সুকুমারী। না—দোষ কি ওর হ’তে পারে। সব দোষ আমারি। তুমি তো আর কারো কোন দোষ দেখ্‌তে পাও না—কেবল আমার বেলাতেই—

 শশধর। ওগো, রাগ করো কেন—আমিও তো দোষী।

 সুকুমারী। তা হ’তে পারে। তোমার কথা তুমি জানো। কিন্তু আমি কখনো ওকে এমন কথা বলিনি যে, তুমি তোমার মেসোর ঘরে পায়ের উপব পা দিয়ে গোঁফে তা দাও আর লম্বা কেদারায় বসে’ বসে’ আমার বাছার উপর বিষদৃষ্টি দিতে থাকো।

 শশধর। না, ঠিক ঐ কথাগুলো তুমি তাকে মাথার দিব্য দিযে শপথ করিয়ে নাওনি—অতএব তোমাকে দোষ দিতে পারিনে। এখন কি ক’রতে হবে বলো।

 সুকুমারী। সে তুমি যা ভালো বোঝো, তাই করো। কিন্তু আমি ব’লচি, সতীশ যতক্ষণ এ বাড়িতে থাকবে, খোকাকে কোন মতে বাইরে যেতে দিতে পারবো না। ও তো আমারই আপন বোনের ছেলে। কিন্তু আমি ওকে এক মুহূর্ত্তের জন্য বিশ্বাস করিনে—এ আমি তোমাকে স্পষ্টই ব’ললেম।

সতীশের প্রবেশ

 সতীশ। কাকে বিশ্বাস কর না মাসিমা! আমাকে? আমি তোমার খোকাকে সুযোগ পেলে গলা টিপে মার্‌বো, এই তোমার ভয়? যদি মারি, তবে তুমি তোমার বোনের ছেলের যে অনিষ্ট ক’রেচো, তার চেয়ে

[ ৬৫