সুকুমারী। তোমরা মায়ে পোয়ে মিলে আমার ছেলের সঙ্গে লেগেচো বুঝি। ওকে তোমাদের সহ্য হচ্চে না। ও গেলেই তোমরা বাঁচো। আমি তাই বলি, খোকা রোজ ডাক্তার কবিরাজেব বোতল বোতল ওষুধ গিল্চে, তবু দিন দিন এমন রোগা হ’চ্চে কেন। ব্যাপারখানা আজ বোঝা গেলো।
সতীশ ও নলিনীর প্রবেশ
সতীশ। এ কি, তুমি যে এ বাড়িতে?
নলিনী। শশধর বাবু বাবাকে কি একটা আইনের কাজে ডেকেচেন। আমি তাঁর সঙ্গে এসেছি।
সতীশ। আমি তোমার কাছে শেষ বিদায় নিতে চাই নেলি।
নলিনী। কেন, কোথায় যাবে?
সতীশ। জাহান্নামে।
নলিনী। যে লোক সন্ধান জানে, সে তো ঘরে বসেই সেখানে যেতে পারে। আজ তোমার মেজাজটা এমন কেন? কলারটা বুঝি ঠিক্ হাল ফেশানের হয় নি।
সতীশ। তুমি কি মনে কর, আমি কেবল কলারের কথাই দিন-রাত্রি চিন্তা করি।
নলিনী। তাই তো মনে হয়। সেই জন্যই তো হঠাৎ তোমাকে অত্যন্ত চিন্তাশীলের মতো দেখায়।
সতীশ। ঠাট্টা কোরো না নেলি, তুমি যদি আজ আমার হৃদয়টা দেখ্তে পেতে—