ওর কি বেশি অনিষ্ট করা হবে? কে আমাকে ছেলেবেলা হ’তে নবাবের মতো সৌখীন করে’ তুলেচে এবং আজ ভিক্ষুকের মতো পথে বের কল্লে? কে আমাকে পিতার শাসন থেকে বিশ্বের লাঞ্ছনার মধ্যে টেনে আনলে? কে আমাকে—
সুকুমারী। ওগো শুন্চো? তোমার সাম্নে আমাকে এমনি করে’ অপমান করে? নিজের মুখে বলে কি না, খোকাকে গলা টিপে মার্বে? ও মা, কি হবে গো। আমি কালসাপকে নিজের হাতে দুধকলা দিয়ে পুষেচি।
সতীশ। দুধকলা আমারও ঘরে ছিলো—সে দুধকলা আমার বক্ত বিষ হয়ে উঠতো না—তা থেকে চিরকালের মতো বঞ্চিত করে’ তুমি যে দুধকলা আমাকে খাইয়েচো, তাতে আমার বিষ জমে উঠেচে। সত্য কথাই ব’ল্চো, এখন আমাকে ভয় করাই চাই—এখন আমি দংশন ক’র্তে পাবি।
বিধুমুখীর প্রবেশ
বিধু। কি সতীশ, কি হ’য়েচে, তোকে দেখে যে ভয় হয়! অমন করে’ তাকিয়ে আছিস্ কেন? আমাকে চিনতে পাবচিস্ নে? আমি তোর মা, সতীশ!
সতীশ। মা, তোমাকে মা ব’ল্বো কোন্ মুখে? মা হয়ে কেন তুমি আমাকে জেল থেকে ফিরিয়ে আন্লে? সে কি মাসির ঘরের চেয়ে ভয়ানক?
শশধর। আঃ সতীশ! চলো চলো—কি ব’কচো, থামো।
সুকুমারী। নাও তোমরা বোঝাপড়া করো—আমার কাজ আছে।