বিধু। কেন ক’রবো না? তাকে কি চাষা ক’রবো?
মন্মথ। লোহার সিন্দুকের চাবিটা—
বিধবা জায়ের প্রবেশ
জা। ভাই, তোমরা এখানে ভালো হ’য়ে ব’সেই কথা কওনা! দাঁডিয়ে কেন? আমি পাশের ঘরে আছি ব’লে বুঝি আলাপ জম্ছে না? ভয় নেই ভাই, আমি নীচের ঘরে যাচ্চি।
সতীশের প্রবেশ ও বাপকে দেখিয়াই পলায়ন
মন্মথ। ও কি ও, তোমার ছেলেটাকে কি মাখিয়েছো?
বিধু। মূচ্ছা যেয়ো না, ভয়ানক কিছু নয়, একটুখানি এসেন্স মাত্র। তাও বিলাতি নয়—তোমাদের সাধের দিশি।
মন্মথ। আমি তোমাকে বারবার ব’লেছি, ছেলেদের তুমি এ সমস্ত সৌখীন জিনিস অভ্যাস করাতে পারবে না।
বিধু। আচ্ছা, যদি তোমার আরাম বোধ হয তো কাল থেকে মাথায় কেরোসিন মাখাবো, আর গায়ে কাষ্টর অয়েল্।
মন্মথ। সে ও বাজে খরচ হবে। কেরোসিন কাষ্টর অয়েল্ গায় মাথায় মাখা আমার মতে অনাবশ্যক।
বিধু। তোমাব মতে আবশ্যক জিনিষ কটা আছে, তা তো জানি না, গোড়াতেই আমাকে বোধ হয় বাদ দিয়ে ব’স্তে হয়।
মন্মথ। তোমাকে বাদ দিলে যে বাদ-প্রতিবাদ একেবারেই বন্ধ হবে। এত কালের দৈনিক অভ্যাস হঠাৎ ছাড়লে এ বয়সে হয় তো সহ্য হবে না! যাই হোক্, এ-কথা আমি তোমাকে আগে থাক্তে ব’লে রাখ্ছি,