পাতা:শোধবোধ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
শােধ বােধ
পঞ্চম দৃশ্য

 শশধর। ঐ পিস্তলটা।

 সতীশ। এই দিলাম। আমি জেলেই যাব। না গেলে আমার পাপের ঋণ শোধ হবে না।

 শশধর। পাপের ঋণ শাস্তির দ্বারা শোধ হয় না, সতীশ, কর্ম্মের দ্বারাই শোধ হয়। তুমি নিশ্চয় জেনো, আমি অনুরোধ ক’ল্লে তোমার বড়ো সাহেব তোমাকে জেলে দেবেন না। এখন থেকে জীবনকে সার্থক করে’ বেঁচে থাকো।

 সতীশ। মেসোমহাশয়, আমার পক্ষে বাঁচা যে কত কঠিন, তা তুমি জানো না—

 শশধর। তবু বাঁচতে হবে, আমার ঋণের এই শোধ। আমাকে ফাঁকি দিয়ে পালাতে পারবে না।

 সতীশ। তবে তাই হবে।

 শশধর। আমার একটা অনুরোধ শোনো। তোমার মাকে আর মাসীকে ক্ষমা করো।

 বিধু। বাবা, আমার কপালে ক্ষমা না থাকে, নাই থাক্, ভগবান্ তোকে যেন ক্ষমা করেন। দিদির কাছে যাই। তাঁর পায়ে ধরিগে।

প্রস্থান।

 শশধর। তবে এসো, সতীশ, আমার ঘরে আজ আহার করে যেতে হবে।

দ্রুতপদে নলিনীর প্রবেশ

 নলিনী। সতীশ।

 সতীশ। কী নলিনী?

৭৬]