পাতা:চয়নিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
চয়নিকা

দুই পক্ষে মিলে একেবারে আত্মহারা
অবোধ অজ্ঞান সৌন্দর্যের দস্যু তারা
লুটে-পুটে নিতে চায় সব। এত গীতি,
এত ছন্দ, এত ভাবে উচ্ছ্বাসিত প্রীতি,
এত মধুরতা দ্বারের সম্মুখ দিয়া
বহে যায়—তাই তারা পড়েছে আসিয়া
সবে মিলি’ কলরবে সেই সুধাস্রোতে।
সমুদ্রবাহিনী সেই প্রেমধারা হতে
কলস ভরিয়া তারা লয়ে যায় তীরে
বিচার না করি’ কিছু, আপন কুটীরে
আপনার তরে। তুমি মিছে ধরো দোষ,
হে সাধু পণ্ডিত, মিছে করিতেছ রোষ।
যাঁর ধন তিনি ওই অপার সন্তোষে
অসীম স্নেহের হাসি হাসিছেন ব’সে।

শাহাজাদপুর
১৮ আষাঢ়, ১২৯৯
—সোনার তরী

দুই পাখি

left
center
right

খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে
বনের পাখি ছিল বনে।
একদা কী করিয়া মিলন হোলো দোঁহে,
কী ছিল বিধাতার মনে।
বনের পাখি বলে; “খাঁচার পাখি ভাই,
বনেতে যাই দোঁহে মিলে।”