পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্তব্য অপালন করার অধিকার দাবী করা যেতে পারে। কিন্তু কমলি নেই ছোড়তি— বিছানা থেকে মুক্তি পেলেই উঠতে হবে রেলগাড়িতে— সেটা পূৰ্ব্বকৃত কৰ্ম্মফলের অপরিহার্য্য তাগিদে। যে দায় ঘাড়ে পড়েছে তাকে বহন করতে হবে যতদিন না শ্মশানপথে আমি শেষ বহনীয় হই । স্টেটসম্যানে যে সংবাদ পেয়েছেন সেটা আমার স্বাস্থ্যলাভের সংবাদ নয় সেটাতে আমার হুগ্রহের তাড়ন সূচনা করচে । কাজ শেষ পৰ্য্যন্তই করতে হবে, তবু চেষ্টা করি ক্ষীয়মাণ শক্তি যতটা বঁাচাতে পারি। চিঠি পেলেই উত্তর দেওয়ার পূৰ্ব্বাভ্যাস আজও আছে সেইজন্তে চিঠি ষাতে না পাই সেই ব্যবস্থা করা হয়েচে– তাতে নিন্দ পাবার আশঙ্কা আছে – কিন্তু নিন্দাবাক্য লিপিবদ্ধ আকারে যাতে আমার কাছে না এসে পৌছয় পরিজনবর্গ সেরকম সতর্কতা অবলম্বন করেচেন। অর্থাৎ বেঁচে থেকে মৃত্যুর যতগুলি সুবিধা পাওয়া যেতে পারে তার চেষ্টা করা যাচ্চে । কিন্তু বেড়ার মধ্যে ফঁাক আছে এত যে সম্পূর্ণ নিঃশঙ্ক মনে আরাম কেদারায় চুপচাপ থাকা অসম্ভব। এই কারণে খবরের কাগজে আমার উদ্যমশীলতার যে সকল সংবাদ পাবেন সময়োচিত তার ব্যাখ্যা করে নেবেন । ইতি ৮ নবেম্বর ১৯৩৩ [ ২২ কার্তিক ১৩৪০ ] আপনাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 為)*