পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিলেন । এই ব্যাপারের মধ্যে কিছুমাত্র গৌরবের কথা আছে, তাহা আমার মনেও ছিল না ; হঠাৎ তাহার কাছে প্রশংসা পাইয়া আমি বিস্থিত হইয়া গেলাম। এইরূপে আমি প্রাইজ না পাওয়ার প্রাইজ পাইলাম, কিন্তু সেটা ভালো হইল না। আমার তো মনে হয়, ছেলেদের দান করা ভালো কিন্তু পুরস্কার দান করা ভালো নহে ; ছেলেরা বাহিরের দিকে তাকাইবে, আপনার দিকে তাকাইবে না, ইহাই তাহাদের পক্ষে স্বাস্থ্যকর।” পত্র ৪৭ । “যে সংবাদ শুনিয়াছেন তাহা মিথ্যা নহে। ভোলা মুঙ্গেরে তাহার মামার বাড়িতে গিয়াছিল শর্মীও আগ্রহ করিয়া সেখানে বেড়াইতে গেল— তাহার পরে আর ফিরিল না।” রবীন্দ্রনাথের বন্ধু শ্ৰীশচন্দ্র মজুমদারের দ্বিতীয় পুত্র সরোজচন্দ্র মজুমদার ( ভোলা ) শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে শমীন্দ্রনাথের সহপাঠী ছিলেন । মুঙ্গেরে শ্ৰীশচন্দ্রের আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শমীন্দ্রনাথ বিস্তুচিকা রোগে আক্রাস্ত হন, সেখানেই ৭ অগ্রহায়ণ ১৩১৪ বঙ্গাৰো তার মৃত্যু হয় । এই প্রসঙ্গ এবং মৃত্যুশোক সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের মনোভাব ৰিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সন্নিবিষ্ট হয়েছে পুলিনবিহারী সেন -সম্পাদিত ‘চিঠিপত্র' ষষ্ঠ খণ্ডের ( প্রকাশ মে ১৯৫৭ ) ‘গ্রন্থপরিচয়’ অংশে (পৃ. ২১৮-২৪ ) ।

  • আমি আগামী কল্য শিলাইদহে পদ্মায় বাস করিতে যাইব ।” একই তারিখে ( ১৯ অগ্রহায়ণ ১৩১৪ ), বিদ্যালয়ের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ভূপেন্দ্রনাথ সাঙ্গালকে রবীন্দ্রনাথ চিঠিতে লিখেছেন, *আগামীকল্য আমি একলা শিলাইদহে যাইতেছি । সেখানে গিয়া সমভ ৰন্দোবস্ত করিয়া ৰেলা মীরাকে ভাকিয়া পাঠাইৰ ।”

ՀՆԵr