পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯১৭ খৃস্টাৰে পাঠ করেন, পরে ১১ আগস্ট তারিখে আলফ্রেম্ভ থিয়েটারেও পঠিত হয় । পত্র ৭৮ । “আপনার আত্মজীবনীর একটি ছোট অধ্যায় পড়ে আমার খুব ভাল লাগল । সম্ভোষকে দেব, ওদের শাস্তিনিকেতনে বের করবে ।" এই রচনাটি শাস্তিনিকেতন পত্রের তৎকালীন সম্পাদক সন্তোষচন্দ্র মজুমদারকে প্রকাশের জন্য রবীন্দ্রনাথ শেষপর্যস্ত দিয়েছিলেন কি না, জানা যায় না । শাস্তিনিকেতন পত্রে এটি প্রকাশিত হয় নি । মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্র করুণাকিরণ আমাদের জানিয়েছেন, তার পিতা আত্মজীবনীটি কোনো কারণে বিনষ্ট করেন । "এখানে আমাদের কাজ হঠাৎ নানা শাখাপ্রশাখায় অত্যন্ত বিস্তীর্ণ হয়ে পড়েচে ।” এই পত্র যে সময়ে লেখা তার অল্পকাল আগে, ৮ পৌষ ১৩২৮ ( ২৩ ডিসেম্বর ১৯২১ ) আঙ্গুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা । প্রতিষ্ঠাসভায় বিশ্বভারতী সোসাইটির পরিষদ গঠিত হয় এবং ৰিশ্বভারতীর সংস্থিতি ( Constitution ) ও গৃহীত হয়। এর আগে ১৮ আষাঢ় ১৩২৬ রবীন্দ্রনাথের সভাপতিত্বে প্রারস্তোং সব সম্পন্ন করে ৰিশ্বভারতীর কাজ আরম্ভ হয়েছিল । রায়পুরের কর্নেল নরেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহের কাছ থেকে রবীন্দ্রনাথ যে স্বরুলগ্রামের সন্নিহিত কুঠিবাড়ি কেনেন, সেটিকে কেন্দ্র করে ১৯২২ খৃস্টাবের ৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতী কৃষিবিভাগের প্রতিষ্ঠা হয় । অল্পকালের মধ্যেই এই বিভাগের কাজের প্রসারণ ঘটে এবং এটি ‘বিশ্বভারতী পল্লীসংগঠনবিভাগ’ নামে পরিচিত হয় । রবীন্দ্রনাথ এই বিভাগের কর্মকেন্দ্র কুঠিৰাড়ি ও তার সংলগ্ন পল্পীর নামকরণ করেন ‘ইনিকেতন’ । ఫి 3e