পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুপৈতি”) শেষ ছত্র। এই শ্লোকের রবীন্দ্রনাথ-কৃত বলাহুবাদ পাঠান্তরসহ মূত্রিত হয়েছে ‘রূপান্তর’ ( ১৯৬৫ ) গ্রন্থে । পত্র ৪১ ৷ “এখন যে এক জায়গায় স্থিতিলাভ করিয়া বলিয়াছেন...” ওড়িশার সম্বলপুরে মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এই সময় ( ১৯০৭ ) থেকে স্থায়ীভাবে ওকালতি ব্যবসায়ে আত্মনিয়োগ করেন । “ল্যাবরেটরি ঘরের উপরে একটি দোতলা হইয়াছে—” উল্লিখিত দোতলা বলভী’ কুটির, ইটের দেয়ালের উপরে খড়ের ছাউনি দেওয়া চালাঘর । বর্তমান পাঠভবন-দপ্তরের সামনের অংশের দোতলায় এই ছাত্রাবাসটি ছিল । ১৯০৭ সালে নির্মিত এই ছাত্রাবাস ১৯২২ সালে ভেঙে তার জায়গায় পাকা ছাদের দোতলা ঘর তৈরি করা হয় । পত্র ৪২ ৷ “বুক পোষ্টে গ্রন্থাবলীর প্রথম খণ্ড পাঠাই ।” মজুমদার লাইব্রেরি-প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথের গদ্যরচনা সংগ্রহ ‘গদ্য গ্রন্থাবলী প্রথম খণ্ড ( বৈশাখ ১৩১s ) । “আমরা কি, দেশের যথার্থ অবস্থা কি তাহার সত্য পরিচয় পাওয়া দরকার. . .” এই কালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক জটিলতার দিকে লক্ষ রেখে রবীন্দ্রনাথের এই মন্তব্য । এইসময়ে নানাকারণে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়। মুসলমান সমাজ ইসলামধর্মের মূলতত্ত্ব ও ধর্মীয় আচার-অস্থঠান বিষয়ে বিশেষ সচেতন হয়ে ওঠেন, তারা নিজেদের হিন্দুসমাজ থেকে পৃথক ভাৰতে শুরু করেন । বাংলাদেশের তৎকালীন জাতীয় আন্দোলন, মূলত হিন্দুসমাজের আন্দোলন– এরূপ ধারণা মুসলমানদের মনে ৰন্ধস্থল )