পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চরিত্রের মহত্ত্বে ও কর্তব্যকৰ্ম্মে ঐকাস্তিক নিষ্ঠায় অভিভূত হইয়া পড়িলাম— অাস্তরিক কৃতজ্ঞতা নিবেদনের চেষ্টা করিলাম, কিন্তু বাষ্পকলুষকণ্ঠে ভাষা ফুটিল না— কেবল অবাক হইয়। র্তাহার মুখের দিকে তাকাইয়া থাকিলাম— বিগলিত অশ্রুধারা মনের ভাব ব্যক্ত করিল, আমি নত হইয়া পদরজ মস্তকে ধারণ করিলাম। আমার হৃদয়গত ভাব কবিবর বুঝিতে পারিলেন– ধীর সস্নেহকণ্ঠে কহিলেন, “স্থির হও, আমি কৰ্ত্তব্যই করিয়াছি । আমি আর কিছুই বলিলাম না, ফিরিয়া আসিলাম । ইহার কয়েকদিন পরেই, গুরুদেবের অনুমতি লইয়া, আমি পুনৰ্ব্বার শাস্তিনিকেতনে আসিয়া কাৰ্য্য গ্রহণ করিলাম এবং মহারাজের বৃত্তিলাভে উৎসাহিত হইয়া, বহুদিনের পরে, অভিধানের কাৰ্য্যে পূর্ববৎ অগ্রসর হইতে থাকিলাম । এই সময়ে গুরুদেব একদিন অভিধানের কথাপ্রসঙ্গে বলিয়াছিলেন, ‘মহারাজের বৃত্তিলাভ ঈশ্বরের অভিপ্রেত, ইহার সমাপ্তির পূৰ্ব্বে তোমার মৃত্যু নাই।’ কবি গুরুর এই ভবিষ্যদবাণী সফল হইয়াছে— ক্রমাগত দ্বাদশ বৎসর কঠোর পরিশ্রম করিয়া, ১৩৩০ সালে এই বৃহৎ গ্রন্থ সমাপ্ত করিয়াছি । . . . ১৩০১ 0