পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লরেন্সকে দেওয়া কিছু অর্থের হিসাব ( লরেন্স সাহেবকে দেওয়া ২<' ) । সম্ভবত, লরেন্স ১৩১১ বঙ্গাব্দের দ্বিতীয়ার্ধে কোনো সময়ে শান্তিনিকেতন বিদ্যালয় থেকে চলে যান । "আমি মাঘের শেষ সপ্তাহে ভ্ৰমণে বাহির হইয়া পড়িৰ—“ মধ্যম কস্তা রেণুকার অস্থস্থতার স্বত্রপাত হওয়ায় রবীন্দ্রনাথের পক্ষে এইসময় ভ্রমণে বের হওয়া সম্ভবপর হয় নি । পত্র ১১ । তারিখহীন । ৮ মাঘ ১৩০৯ তারিখ লেখা , পত্রে ( ১০ সংখ্যক ) সত্যেদের প্রতি অধ্যক্ষতার ভার দিয়াছি’ এবং বর্তমান পত্রের ‘আপনার আবেদনপত্ৰখানি আমি সত্যর নিকট পাঠাইয়া দিলাম •••’ প্রধানত এই দুই বিবরণের বিচারে এই পত্র ১৩০৯ বঙ্গাব্দের ১২ মাঘের অব্যবহিত পূর্বে লেখা বলে অনুমান করা যায়। “আমি পণ্ডিতমহাশয় ও সতীশকে গুটিকয়েক গল্পের প্লট দিয়া গল্প লিখাইয়াছি।" সতীশ । সতীশচন্দ্র রায় ( ১৮৮২-১৯০৪ ) । বরিশাল জেলার উজিরপুর গ্রামের জমিদারবংশীয় অখিলচন্দ্র রায়ের জ্যেষ্ঠপুত্র সতীশচন্দ্র ররিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে এফ.এ. পাস করার পর কলকাতায় বি.এ. পাঠরত অবস্থায় তার স্বহৃদ অজিতকুমার চক্রবর্তীর স্থত্রে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরিচিত হন । এর অনতিকালের মধ্যেই সতীশচন্দ্র শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে শিক্ষকরূপে যোগ দেন। এখানে আসার এক বৎসরের মধ্যেই তার মৃত্যু ঘটে । এই অকালপ্রয়াত প্রতিভাবাম তরুণ শিক্ষকের স্বতি রবীন্দ্রনাথ তার জীবনের বিভিন্ন সময়ে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে ৰার বার স্মরণ করেছেন । সতীশচন্দ্রের জন্মশতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে পুলিনবিহারী সেনের তত্ত্বাবধানে সংকলিত, প্রকাশিতব্য ‘সতীশচন্দ্র রায় গ্রন্থে র্তাব বিস্তাৱিত ३8७