পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপকদের সাংসারিক অভাব মোচন করতে হত । বৎসরের পর বৎসর যায়, অর্থাভাব সমানই রইল, বিদ্যালয় বাড়তে লাগল। দেখ1 গেল, বেতন না নিলে বিদ্যালয় রক্ষা করা যায় না। বেতনের প্রবর্তন হল ; কিন্তু অভাব দূর হল না। আমার গ্রন্থের স্বত্ব কিছু কিছু করে বিক্রয় করতে হল। এ দিকে ও দিকে দু-একটা যা সম্পত্তি ছিল তা গেল, অলংকার বিক্রয় করলুম।— নিজের সংসারকে রিক্ত করে কাজ চালাতে হল ।...** এই পত্র রচনাকালে বিদ্যালয়ে বেতন গ্রহণের প্রথা প্রবর্তিত হলেও শিক্ষক ও কর্মীদের পুত্রকন্যা ও নিকট আত্মীয়ের বিনা বেতনে শিক্ষালাভের স্বযোগ পেত, এ-ছাড়া স্বল্প-সংখ্যক ছাত্রকে অবৈতনিক শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হত । অক্ষয়বাবু । অক্ষয়চন্দ্র সরকার ( ১৮৪৬-১৯১৭ )। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সহযোগী সাহিত্যিক । 'প্রাচীন কাব্যসংগ্রহের অন্ততম সংকলক ; ‘সাধারণী’, ‘নবজীবন’ ইত্যাদি পত্রিকার সম্পাদক । তার পুত্র অচ্যুত আশ্রম-বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। অক্ষয়চন্দ্রের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অস্তিরিক যোগের কথা জানা যায়। বর্তমান গ্রন্থের পরিশিষ্ট ২ অংশে (পৃ. ১৯৭), মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতিকথায় অক্ষয়চন্দ্রের শাস্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের ক্লাসে যোগ দেওয়ার বিবরণটি উল্লেখযোগ্য ।

  • অক্ষয়বাবু বোধহয় বিরক্ত হইয়াছেন।” অচ্যুতচন্দ্র সরকারকে শাস্তিনিকেতন বিদ্যালয়ে পাঠানোর পর থেকেই

১. 'যাত্রার পূর্বকথা’ নামে ১৩৩১ কাষ্টিক সংখ্যা প্রবাসী’ পত্রে মুমিত । ‘বিশ্বভারতী’ ( ১৩৪৮ ) গ্রস্থের ১১ সংখ্যক রচনা । ఇ99