পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার পরিচয় হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় । ...দূর পল্লীগ্রামে ছাত্রজীবনে যখন আমি তৃতীয় শ্রেণীর বিদ্যার্থী, তখন কোন সুযোগে কবিবরের নিকট হইতে আমি মাসিক কিছু বৃত্তি পাইয়াছিলাম। আমি দরিদ্রের সন্তান, সুতরাং এই বৃত্তি তখন আমাকে যে কত আনন্দ, কত উৎসাহ ও কত আশা দিয়াছিল, তাহ অনুমানেরই বিষয়, বলিবার কথা নয়। আমি যাহা কিছু শিখিয়াছি, এই বৃত্তিই তাহার মূল দৃঢ় করিয়া দিয়াছিল। ভবিষ্যৎ জীবনে যাহা কিছু বিদ্যালাভ করিয়াছি, এই বৃত্তিই তাহার ভিত্তি। কলেজে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করিতে করিতে, আমার ছাত্রজীবনের শেষ ও সঙ্গে সঙ্গে সাংসারিক জীবনের সূত্রপাত হয়। আমি দরিদ্র, সুতরাং সহায় সম্পত্তির বলে কাৰ্য্য জুটাইয়। লওয়া আমার পক্ষে নিতান্ত অসম্ভব । নিজের যাহা কিছু বিদ্যা ছিল, তাহারই বিনিময়ে পল্লীগ্রামে ও পরে কলিকাতার বিদ্যালয়ে কিছু কিছু উপার্জন করিয়া, আমি সেই সময়ে পিতার দুর্ভর সংসারভার-বহনের ক্লেশ কিঞ্চিৎ উপশমিত করিতে লাগিলাম। আমার দাদা (পিতৃম্বসার পুত্র ) শ্ৰীযুত যদুনাথ চট্টোপাধ্যায় তখন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের জোড়ার্সাকোর বাটতে সদর বিভাগে খাজাঞ্চির কার্য্য করিতেন। সেই সূত্রে আমি মধ্যে মধ্যে র্তাহার অফিসে যাইতাম এবং তাহার মুখে কবীন্দ্রের ३ ● है