পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র ২৩। “আমাদের বিদ্যালয় হইতে পত্রিকা বাহির করিতে সতীশের অত্যন্ত আগ্রহ ছিল... ” সতীশচন্দ্র রায় ছাত্রদের নানাভাবে সাহিত্যবোধে উদবুদ্ধ করার চেষ্টা করতেন ; রবীন্দ্রনাথ ও অজিতকুমার চক্রবর্তীর রচনায় তার বিস্তারিত বিবরণ আছে। সতীশচক্সের মনে বিদ্যালয় থেকে একটি সাহিত্যপত্র প্রকাশের ইচ্ছা অঙ্কুরিত হয়, কিন্তু ঐ সময় তা সম্ভবপর হয় নি ; পরবর্তীকালে সেই ইচ্ছা সার্থক হয়। যতদূর জানা যায়, বিদ্যালয়ের ছাত্রদের সম্পাদিত “শাস্তি’ই প্রথম হাতে-লেখ পত্রিকা, প্রথম প্রকাশ মাঘ ১৩১৪ । এই ধরনের আরো কয়েকটি ছাত্র-সম্পাদিত পত্রিকার উল্লেখ করা গেল— প্রভাত ( ১৩১৬), বাগান ( ১৩১৭ ), আশ্রম ( ১৩১৭ ), কুটির ( ১৩১৭ ), The Ashram ( ১৩২• ) ইত্যাদি । "তিতীযুদ্ধ স্তরং মোহাছডুপেনাম্বি সাগরং“ কালিদাসের রঘুবংশম্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত শ্লোক। পত্রে উদদ্ভুত ‘গমিন্যাম্পহাস্যতাম্ অংশ পরবর্তী শ্লোকের দ্বিতীয় পাদ । পত্র ২৫ । শরৎ। রবীন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠ কন্যা মাধুরীলতার স্বামী শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী । পত্র ২৬ । “আমি ইতিমধ্যে বুদ্ধগয়ায় ভ্রমণ করিয়া” ” বুদ্ধগয়ায় এই ভ্রমণকালে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে যার সহযাত্রী ছিলেন তাদের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য, আচার্য জগদীশচন্দ্র বস্থ ও তার পত্নী অৰলাদেবী, ভগিনী নিবেদিত, আচার্য যদুনাথ সরকার । রবীন্দ্রনাথ এবং সন্তোষচন্দ্র মজুমদারও তাদের সঙ্গী হয়েছিলেন । রবীন্দ্রনাথ তার “পিতৃস্থতি’ গ্রন্থে ‘জাচার্য জগদীশচন্দ্র' অধ্যায়ের প্রথমাংশে এই ভ্রমণের হৃদয়গ্রাহী বর্ণনা দিয়েছেন । &Q'o