পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ মাঘ লিখছেন, “রখীরা মার্চমাসের মাঝামাঝি যাত্ৰা করিবে ।" এই সংকলনগ্রন্থের ৩৫-সংখ্যক পত্র এবং বর্তমান পত্রে রথীন্দ্রনাথ ও সম্ভোষচন্দ্রের বিদেশ যাত্রার প্রসঙ্গ আছে । রথীন্দ্রনাথ ও সন্তোষচন্দ্র উচ্চশিক্ষার্থে ২০ চৈত্র ১৩১২ ( ৩ এপ্রিল ১৯০৬ ) আমেরিকা যাত্রা করেন । এই তিনখানি চিঠিই অল্পকালের ব্যবধানে লেখা । আলোচ্য ৩৬ সংখ্যক চিঠি ১৩১২ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের শেষে অথবা ফাঙ্কনের আরম্ভে লেখা, এরূপ অকুমান করা চলে । পত্র ৩৭ । “সম্প্রতি আগরতলায় আটকা পড়া গেছে । বরিশালে যাইতে হইবে । তাহার পর চাটগায়ে যাইবার কথা .. ” ত্রিপুরা রাজপরিবারের সঙ্গে ঠাকুর-পরিবারের সুদীর্ঘকাল ধরে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে মহারাজ বীরচন্দ্রমাণিক্য ও তার পুত্র রাধাকিশোরমাণিক্য বন্ধুতাস্থত্রে আবদ্ধ ছিলেন । মহারাজ রাধাকিশোরমাণিক্য, ত্রিপুররাজ্যের অকৃত্রিম হিতৈষীজ্ঞানে রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে অনেক সময়েই রাজ্যপরিচালনসংক্রাস্ত নানা বিষয়ে পরামর্শ চাইতেন, রবীন্দ্রনাথও অসংকোচে তার মতামত দিতেন । এরূপ একটি উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুররাজকে ১৬ শ্রাবণ ১৩১২ বঙ্গাদে লিখছেন— “স্থানীয় দলাদলির সঙ্গে সম্পর্কশূন্ত, নি:স্বার্থ, স্বশিক্ষিত, স্বদক্ষ লোক মহারাজের সম্প্রতি একান্ত আবশ্যক হইয়াছে।” এর অব্যবহিত পর (কাতিক ১৩১২ ), দ্বিজেন্দ্রনাথের জামাতা, কলকাতা পৌর প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞ ও স্বদক্ষ উচ্চপদস্থ কর্মচারী রমণীমোহন চট্টোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথের মনোনয়নক্রমে ত্রিপুরার রাজমন্ত্রীরূপে নিযুক্ত হন। রমণীমোহন ১৩১২ বঙ্গাব্দের চৈত্রমালে রাজ্যের বাজেটের যে খসড়া পেশ করেন, মহারাজ সে-বিষয়ে আলোচনার জন্ত রবীন্দ্রনাথকে জিপুরায় আহবান করেন। &అe