পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে 8 S. বোলপুর স্টেশনে এসে পৌছলুম। কী ঘনঘোর মেঘ— বৃষ্টিতে সমস্ত মাঠ ভেসে গেছে—চারদিকে সবুজ। এত বড়ো আকাশ এবং অবারিত মাঠ না থাকলে বর্ষার মেজাজটা ছি চৰ্কাতুনে গোছের হয়ে ওঠে, তার মর্যাদা নষ্ট হয়। যাই হোক এতদিনে এখানে এসে পুরো বহরের বর্ষা পাওয়া গেল— তার মধ্যে ছাট কাট নেই । অাডিয়ার আশ্রমে মশার সংখ্যা এবং হিংস্ৰতা দেখে দেহ মন অভিভূত হয়েছিল—শান্তিনিকেতন আশ্রম তার চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। এদের সঙ্গে যুদ্ধের একমাত্র উপায় বাষ্পবাণ—সন্ধ্যা থেকে সমস্ত রাত্রি কাটোল-ধূম প্রয়োগ করেছি—এই রূঢ় আচরণে কিছু তারা দুঃখিত হোলো দেখলুম, এমন কি একদল walk out করলে কিন্তু যে কয়টি die-hards টিকে রইল শান্তিভঙ্গের পক্ষে তারা যথেষ্ট ৮ ভোরে উঠে প্রতিদিন একটুখানি বসি—কিন্তু তারা আমার , চেয়েও ভোরে ওঠে। এদিকে মুষলধারায় বৃষ্টি, দক্ষিণ ও পুব দিক থেকে বেগে হাওয়া দিচ্ছে, দরজা বন্ধ করে সকাল কাটল—আলো জ্বাললুম, তাতে মশাগুলো উৎসাহিত হয়ে মনে করলে তাদের ভোজে নিমন্ত্রণ করেছি—কিছুতেই চরণপ্রান্ত ছাড়তে চায় না। ইতি ২০ আষাঢ়, ১৩৩৫ ৷