পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রধারা وعا 8 ভেবেছিলুম জাহাজ এডেনে দাড়াবে তখন তোমার চিঠি ডাকে দেব। খবর পেলুম স্থয়েজ থেকে কলম্বোর মধ্যে জাহাজ কোথাও দাড়াবে না। তাই ভাবছি আরও একটুখানি লিখি । মৃত্যুর কথাটা মন থেকে কিছুতে যাচ্ছে না। আমাদের আপন সংসারের প্রত্যেককে নিয়ে বিশেষ কোনো-না-কোনো আমিই বিস্তৃত হয়ে আছি— কোথাও গভীর কোথাও অগভীরভাবে । সেই সবটা নিয়েই আমার জীবন । বিশ্বজগতে আমার প্রায় কোনো কিছুতেই ঔদাসীন্য নেই, তার মানে আমি খুব ব্যাপকভাবে বেঁচে আছি । কিন্তু যত ব্যাপ্তি তত তার আনন্দও ষেমন হঃখও তেমনি। প্রাণের পরিধি যেখানে প্রসারিত মৃত্যুর বtশ সেখানে নানা জায়গায় এসে বিদ্ধ হবার জায়গা পায় । জীবনের সত্য সাধন হচ্ছে অমরতার সাধনা, অর্থাৎ এমন কিছুতে বাচ। যা মৃত্যুর অতীত। অনেক সময় প্রিয়জনের মৃত্যুতে-ষে বৈরাগ্য আনে তার মানে হচ্ছে এই যে, তখন আহত প্রাণ সব ত্যাগ ক’রে এমন কিছুতে বঁাচতে চায় যার ক্ষয় নেই বিলুপ্তি নেই । পিতৃদেবের জীবনীর প্রথম অধ্যায়ে সেই কথাটাই পাই। মৃত্যু যখন জীবনের