পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে । १ তাড়ি মন স্থির করা অত্যাবগুক, মানুষেরও তখন হায়, অবস্থা হয় । পৃথিবীতে যে সব-জাত নিজেদের । সম্ব২ে যথোচিত নিরাপদ ব্যবস্থা করতে পেরেছে, যাদের আইন যথোচিত পাকা, যাদের আত্মরক্ষাবিধি স্থবিহিত তারা অন্ধ সংশয়ের হাত থেকে বেঁচেছে—কেননা ওটা তাদের পক্ষে সহায় নয়, বাধা । ওর (Miss P–এর) জীবনে বিস্তর ভাঙাচোরা ঘটেছে— এদিকে ওদিকে অনেক ব্যথা অনেক আকারে ওর মধ্যে বাসা বেঁধে আছে ৷ ‘ ও মনে করেছে আমি বুঝি কোনো একরকম ক’রে ওকে সাহায্য করতে পারি। কেননা ও অনেকের কাছে। শুনেছে-যে আমি তাদের সাহায্য করেছি। অথচ আমি যে কোথায় সত্য, কোথায় আমায় সম্পদ, তা ও জানে না, বুঝতেও পারে না । ও মনে করেছে আমার কাছাকাছি থাকার মধ্যেই । বুঝি সাহায্য ব’লে একটা পদার্থ আছে। বুঝতে পারে না কাছাকাছি যাকে প্রত্যহ পাওয়া যায় সে অত্যন্ত সাধারণ ব্যক্তি, অনেক বিষয়ে সে নিবোধ, অনেক বিষয়ে সে মন । আসল কথা ও স্ত্রীলোক । আঁকড়ে থাকলেই একটা সত্য বস্তু পাওয়া যায় ব’লে ওর ধারণা । হায়রে পৌত্তলিক। প্রতিমার মাটি সত্য নয়, তাকে যতই গয়না দিয়ে সাজাইনে কেন । অথচ প্রতিমার মধ্যে যে সত্য নেই এত বড়ো ঘোর ব্রাক্ষিক গোড়ামিও ঠিক নয়। আসল কথা তাকে অঁাকড়ে ধরতে গেলেই ভুলটাকে ধরা হয়, তখনি সত্য দেয় দৌড়। যেপোকা বইএর কাগজ কেটে খায়, সেই পৌত্তলিক, যে তাকে ।