পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে 8s २० ‘. কাল খুব ক্লান্ত হয়েই এসেছিলুম। আজ সকালে শরতের আকাশে আলোতে হাওয়াতে মিলে আমার শুশ্রীষায় লেগে গেছে। অন্ত নার্সিংহোমের দোষ হচ্ছে সেটা যে রোগীরই আশ্রয় একথা তার সর্বাঙ্গে ছাপমারা, প্রকৃতির শুশ্রীষাগারে আয়ডোফমের গন্ধ নেই—জলে স্থলে আকাশে সবাই বলছে এটা নীরোগী নিকেতন । তাই মনও বলে ওঠে আমার কোনো বালাই নেই। আজ সকালে আমার ভাবখানা এই যে, কাজ করা চাই—কিন্তু কোনো , ঝঞ্জাট পোহাতে পেরে উঠব না। কোনো কোনো ছেলেকে মাছের কাটা বেছে সাবধানে খাওয়াতে হয়, আমার অবস্থাটা । সেইরকম—ঝঞ্জাট বাচিয়ে আমাকে কাজ করাতে হবে। মাছটা খাওয়াই চাই কিন্তু কাটা আর কেউ বেছে দেবে— একেই খাটি গ্রাম্য বাংলায় বলে “আহলাদ ।”v/কবিত্বটাকে নিয়ে ষোলোআন মন ভরে না। পাহাড়টা আছে তার উপরে যদি রং বেরঙের মেঘের খেলা থাকে তাহলেই দৃশ্বট বেশ ভরপুর হয়—শুধু মেঘ নিয়ে দৃশু জমে না। আমাকে কাজ করতেই হবে—অথচ ভীরুমনকে হাঙ্গামার ভয় থেকে বাচিয়ে চল চাই । সংসার এত আবদার সইতে পারে ন!—কিন্তু সংসারের অনেক সেবা অনেক হাঙ্গামা পুইয়ে আমি ৰূরেছি —তাই শেষ দশায় এই প্রশ্রয়টুকু দাবি করতেও পারি। ইতি ২৬ ভাজ, ১৩৩৫ ৷ I — cभोग्न § 8 !