পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ふや | পত্রধারা ভিতর দিয়েও গম্যস্থানের দিকে এগোয় আমার লেখাও তেমনি কল একেবারে বন্ধ করে না। যাকগে। বিষয়টা ছিল আমার নতুন নাটক রচনা। রাজা ও রানীর রূপান্তরীকরণ । সেই নাম রইল ; সেই রূপ রইল না। বিশ্বভারতীর কম সচিবকে খাজনা দিতে হবে না। যদি সাবেক নামটার জন্তে ভাড়ার দাবি করেন সেটাকে বদলাতে কতক্ষণ । “সুমিত্ৰা” নামই ঠিক করেছি। প্রশান্ত মাঝে মাঝে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যেন আমি নেড়াছন্দে ব্ল্যাঙ্কভাসে নাটক লিখি। আমি স্পষ্টই দেখলুম গছে তার চেয়ে ঢের বেশি জোর পাওয়া যায়। পদ্য জিনিসটা সমুদ্রের মতো–তার যা বৈচিত্র্য তা প্রধানত তরঙ্গের—কিন্তু গদ্যটা স্থলদৃশ্ব, তাতে নানা মেজাজের রূপ আনা যায়—অরণ্য পাহাড় মরুভূমি, সমতল, অসমতল, প্রান্তর কাস্তার ইত্যাদি ইত্যাদি । জানা আছে পৃথিবীর জলময় রূপ আদিম যুগের—স্থলের আবির্ভাব হাল আমলের। সাহিত্যে পদ্যটাও প্রাচীন—গদ্য ক্রমে ক্রমে জেগে উঠছে—তাকে ব্যবহার করা অধিকার করা সহজ নয়, সে তার আপন বেগে ভাসিয়ে নিয়ে যায় না—নিজের শক্তি প্রয়োগ ক’রে তার উপর দিয়ে চলতে হয়—ক্ষমতা অনুসারে সেই চলার বৈচিত্র্য কত তার ঠিক নেই, ধীরে চলা, ছুটে চলা, লাফিয়ে চলা, নেচে চলা, মার্চ করে চলা—তার পরে নাচলারও কত আকার—কত রকমের শোওয়া বসা - দাড়ানো । বস্তুত গদ্যরচনায় আত্মশক্তির সুতরাং আত্মপ্রকাশের ক্ষেত্র খুবই প্রশস্ত। হয়তো ভাবিকালে সংগীতটাও বন্ধনহীন গদ্যের