পাতা:প্রায়শ্চিত্ত ১৯২০ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রায়শ্চিত্ত هوا প্রতাপাদিত্য । ওষুধ কিসের জন্তে ? মহিষী। ওকে ওষুধ খাওয়ালেই ওর জাছ কেটে যাবে। মঙ্গলার ওষুধ অব্যর্থ, সকলেই জানে। প্রতাপাদিত্য । আমি তোমার ওষুধ-টষুধ বুঝি নে— আমি এক ওষুধ জানি, শেষকালে সেই ওষুধ প্রয়োগ করব। আমি তোমাকে বলে রাখছি, কাল যদি ওই শ্ৰীপুরের মেয়ে শ্রীপুরে ফিরে না যায় তা হলে আমি উদয়কে স্বদ্ধ নির্বাসনে পাঠাব। এখন যা করতে হয় করে গে । মহিষী। আর তো বাচি নে ! কী যে করব মাথামুণ্ডু ভেবে পাই নে । [ প্রস্থান উদয়াদিত্যের প্রবেশ প্রতাপাদিত্য । সীতারাম-ভাগবতের বেতন বন্ধ হয়েছে, সে কি রাজকোষে অর্থ নেই বলে ? উদয়াদিত্য। না মহারাজ, আমি বলপূর্বক তাদের কর্তব্যে বাধা দিয়েছি, আমাকে তারই দও দেবার জন্তে । প্রতাপাদিত্য । বউমা তাদের গোপনে অর্থসাহায্য করছেন । উদয়াদিত্য । আমিই তাকে সাহায্য করতে বলেছি। প্রতাপাদিত্য । আমার ইচ্ছার অপমান করবার জন্তে ? উদয়াদিত্য। না মহারাজ, যে দও আমারই প্রাপ্য তা নিজে গ্রহণ করবার জন্তে । প্রতাপাদিত্য । আমি আদেশ করছি, ভবিষ্যতে তাদের আর ষেম অর্থসাহায্য না করা হয় । উদয়াদিত্য । আমার প্রতি আরো গুরুতর শাস্তির আদেশ হল । প্রতাপাদিত্য। আর বউমাকে বোলে, তিনি আমাকে একেবারেই ভয় করেন না। দীর্ঘকাল তাকে প্রশ্ৰয় দেওয়া হয়েছে বলেই এরকম