পাতা:ফাল্গুনী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাল্গুনী ৩৫ শিউরে উঠেছে আর এ পর্য্যন্ত দাদার গায়ে বসন্তর আমেজ লাগল না ! দাদা । আহা কি মুস্কিল ! বয়েস হয়েছে যে ! পৃথিবীর বয়েস অন্তত তোমার চেয়ে কম নয়, কিন্তু নবীন হ’তে ওর লজ্জা নেই। চন্দ্রহাস। দাদা, তুমি বসে’ বসে চৌপদী লিখচ, আর এই চেয়ে দেখ সমস্ত জলস্থল কেবল নবীন হবার তপস্যা করচে । দাদা, তুমি কোটরে বসে’ কবিতা লেখ কি করে ? দাদা। আমার কবিতা ত তোদের কবিশেখরের কল্পমঞ্জরীর মত সোঁখীন কাব্যের ফুলের চাষ নয় যে, কেবল বাইরের হাওয়ায় দোল খাবে। এতে সার আছেরে, ভার অাছে। যেমন কচু । মাটির দখল ছাড়ে না। দাদা। শোন তবে বলি,— ঐরে দাদা এবার চৌপদী বের করবে ! এলরে এল চৌপদী এল । আর ঠেকানো গেল না। ভো ভো পথিকবৃন্দ, সাবধান, দাদার মত্ত চৌপদী চঞ্চল হ’য়ে উঠেছে। চন্দ্রহাস। না দাদা, তুমি ওদের কথায় কান দিয়ে