পাতা:শারদোৎসব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 রাজা। বল কী, তার শিক্ষা হল কোথায়?

 মন্ত্রী। তার শিক্ষা হয়ই নি।

 রাজা। তবে? সে কি হাত-পা নেড়ে গলা ছেড়ে দিয়ে আসর জমাতে পারবে? সে যে আনাড়ি।

 মন্ত্রী। পাছে যারা হাত-পা নাড়তে শিক্ষা পেয়েছে তাদের ডাকা হয় এই ভয়েই সে নিজেই সন্ন্যাসী সাজবার ভার নিয়েছে। সে বলে, পালার বিষয়টা যেমন অনর্থক পালার নটের দলও তেমনি অশিক্ষিত।

 রাজা। তা, এ নিয়ে এখন পরিতাপ করে কোনো লাভ নেই। তা হলে আরম্ভ করে দাও। একটা সুবিধে এই যে বেশি কিছু আশা করব না সুতরাং বেশি কিছু নৈরাশ্যের আশঙ্কা থাকবে না। গোড়ায় একটা গান হবে তো?

 মন্ত্রী। হবে বইকি। এই যে গানের দল আপনার পাশেই বসে।

শান্তিনিকেতনে শারদোৎসবের প্রথম অভিনয় (১৩১৫) উপলক্ষে কবি এই নাটকের জন্য একটি নান্দী রচনা করিয়াছিলেন (ভারতী, কার্তিক ১৩১৫)। উহা গ্রন্থে মুদ্রিত হয় নাই, নীচে সেটি উদ্ধৃত হইল:

শরতে হেমস্তে শীতে বসন্তে নিদাঘে বরষায়
অনন্ত সৌন্দর্যধারে ধাহার আনন্দ বহি যায়
সেই অপরূপ, সেই অরূপ, রূপের নিকেতন
নব নব ঋতুরসে ভরে দিন সবাকার মন।

১০২