পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলিজিবেথ। 2 e > कब्रिब्राँ উঠিতে পরিবেন না।” এই কথা সকল বলিবার সময়ে ফেডোর কিছুমাত্র রোদন করিলেন না বটে, কিন্তু অনবরতই এক প্রকার প্রলাপের মত কথা কহিতে লাগিলেন । - স্পৃিঙ্গর অনিৰ্ব্বচনীয় শোক প্রভাবে এলিজিবেথকে সম্বোধন করিয়া কছিলেন, “বাছা! যদি তোমার প্রসূতির একাস্থই মত না হয় তবে অামি কিরূপে তোমাকে যাইতে অনুমতি করিব।” - এলিজিবেথ মাতাকে শুশ্রুষা করিতে করিতে সাদ্ভূনাবাক্যে কহিতে লাগিলেন, “ মা ! এত ভীত হইতেছেন কেন ? আপনি যদি আমাকে অনুমতি না দেন, তাছা হইলে অামি অবশ্যই এখানে অবস্থিতি করিব । আপনাকে মান্য করি ও আপনার ইচ্ছানুসারে চলি ইহা আমার নিতান্ত বাসনা জানিরেন । যাহা হউক, আপাততঃ আপনি আমার পিতার আজ্ঞায় সম্মত হইতে পারিলেন না, কিন্তু বোধ হইতেছে অন্তর্যামী পরমেশ্বর আপনাকে সম্মত করাইতে পারিবেন। অতএব আসুন, এখন আমরা দুই জনে তাহার নিকটে এই বিষয়ে প্রার্থনা করি। এবং কি প্রকার রীতি নীতিতে চলিতে হইবেক তাহাও তাছাকে জিজ্ঞাসা করি । তিনি সৰ্ব্বজ্ঞানময় সৰ্ব্বশক্তিমান জ্যোতিঃস্বরূপ। তাহার আলোকের প্রভাবে আমরা সংসারযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করেতেছি, এবং তাহারই অপার শক্তি অবলম্বন করিয়া অমর নানা কাৰ্য্য সমাধানে সমর্থ হইতেছি। তিনি স্বয়ং সত্য স্বরূপ এবং যাবতীয় সত্যের মুলীভূত কারণ। আমরা যে তাছার নিদ্ধারিত নিয়ম সকল সহ্য করিতে শিখিয়াছি লে কেবল তাঁহারই মহিমা, তাহাতে আর কিছুমাত্র, সন্দেহ নাই ।” . •

  • ঈশ্বরপরায়ণ ফেডোর মনে মনে বুঝিতে পারিলেন ষে

I 3