পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছড়া লাল বাদরের নাচন সেথায় রামছাগলের ঘাড়ে। মনিব মিঞা, বাঁদরটাকে খাওয়ায় শালিধান্য, রামছাগলের গম্ভীরতা কেউ করে না মান্য। দাড়িটা তার নড়ে কেবল, বাজেরে ডুগডুগি, কাৎলা মারে লেজের ঝাপট, জল ওঠে বুগ্ৰবৃগি। সুড়সুড়ি দেয় থেকে থেকে চৌকিদারের নাকে। বাতাস জুড়ে ঘনঘন কোদাল যেন পাড়ে। আঁৎকে উঠে কাখের থেকে বেী ফেলে দেয় ঘড়া। কাকেরা হয় হতবুদ্ধি, বকের ভাঙে ধান। এজলাসেতে চমকে ওঠেন হরিমোহন সেন। হাঁচির ধাক্কা এতখানি এটা গুজব মিথ্যে এই নিয়ে সব কলেজ পড়া বিজ্ঞানীদের চিত্তে অল্প কিছু লাগল ধাঁধা, রাগল অপর পক্ষে, বললে, “ফিজিক্স পড়ে কেবল ধুলো লাগায় চক্ষে। অন্য দেশে অসম্ভব যা, পুণ্য ভারতবর্ষে সম্ভব নয় বলিস যদি প্রায়শ্চিত্ত কর সে।” এই নিয়ে দুই দলে মিলে ইটপাটকেল ছোড়া, হায়রে কারো ভাঙলো কপাল, কেউ বা হোলো খোড়া। ریا\8