পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শোচনীয় হইয়াছে— অতএব ৩৪ মাসিক কিস্তিতে যদি এ দেনা শোধ হয় তাহা হইলে কি অসুবিধা হইবে ? এ বই কি বিক্রয়ের কোনো প্রকার ব্যবস্থা হইতে পারিবে না ? আমাদের বিদ্যালয়েও কি ইহা পাঠ্যরূপে চলিবে না ? যদি কিছু কিছু বিক্রয় হয় তবে তাহা হইতে এই খরচের দেনার পরিমাণ টাকা আমাদের খাতাঞ্চি যছ চাটুযোকে দিতে বলিবেন । দেন। শোধ হইলে বিদ্যালয়কে দে ওয়া যাইবে । এখানে অনেকে আমার বিদ্যালয় সম্বন্ধে ঔৎসুক্য প্রকাশ করিতেছেন – হয়ত এখান হইতে সাহায্য লাভ করা অসম্ভব হইবে না। কেবল মুস্কিল এই যে দশ জনের কাছে প্রচার করিয়া এবং ভিক্ষা করিয়া বেড়ানো আমার পক্ষে অত্যস্ত দুঃসাধ্য। নিজের দেশের কাজের জন্য এ দেশের লোকের মুখাপেক্ষী হইতে এত লজ্জা বোধ হয় যে আমি মুখ ফুটিয়া স্পষ্ট করিয়া অভাব জানাইতে পারি না । আমি যদি আর একটু মুখর ও প্রখর হইতে পারিতাম তবে এখান হইতে সকল অভাব মোচন করিয়া ফিরিতে পরিতাম— কিন্তু আমার দ্বারা সে বোধ হয় ঘটিয়া উঠিবে না। আমি আমার “পুরস্কার” কবি তার কবির মত শুধু বোধ করি মালা হাতে করিয়াই ফিরিব— যদি ও নেপালবাবু আমার স্বন্ধে মোহরের থলি দেখিবার জন্য পথ তাকাইয়া বসিয়া আছেন । আপনাদের শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর