পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এবারকার কনগ্রেসে আমাদের খুব একটা বড় স্বর দেবার অবকাশ ছিল । গান্ধী এবং শ্রদ্ধানন্দ সেই মুর লাগিয়েছিলেন কিন্তু মোটের উপর আমার মনে হয় dignity এবং সংযমের অভাব ঘটেচে । পঞ্জাবের উৎপাত সম্বন্ধে আমাদের এত বেশি বাচালতা করা অনাবশ্যক ছিল— উচিত ছিল এ সম্বন্ধে আমাদের অতিমাত্র উত্তেজনার দ্বারা কমিশনের বিচারকে বিচলিত না করা । আমাদের কথা পৃথিবীর কাছে যাবে না । আজ পঞ্জাবের অত্যাচার সম্বন্ধে পুথিবীর কাছেই বিচার চলচে । আমরা যা পেয়েচি সে ত সয়েচি— তাতে আমাদের উপকারও হয়েচে— কিন্তু দোষীর দণ্ডের ভার সমস্ত জগতের উপর । যদি কমিশন দুৰ্ব্বলভাবে সত্য গোপন করতে চায়, তখনই আমাদের যা কৰ্ত্তব্য তা করা উচিত হবে । ঝগড়াটে সুর কিম্বা জিতের বড়াই ছেলেমানুষি— এত বড় উপলক্ষ্যের অনুপযুক্ত । লাট সাহেবকে তাড়িয়ে দেওয়া প্রভৃতি নিয়ে আমরা যে সব আবদার করেছি সে যেন আছরে ছেলের বাপের কাছে আবদার করার মত— আমাদের কি সেই সম্বন্ধ ? সত্য প্রকাশ হোক সেইটেই সব চেয়ে বড় দণ্ড, moral দণ্ড, তার চেয়ে ছোট দণ্ড আমরা মাপ করতে পারি— সত্যই নিজের দণ্ড নিজে গ্রহণ করুন— আমরা চঞ্চলত করে এই বিচার প্রণালীর গাম্ভীৰ্য্য নষ্ট করলে দুঃখের কথা । ইতি ২৮ পৌষ আপনাদের শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Q?