পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে সাহিত্য-জীবনের কোনো কাজই সজনীকাস্তের সম্পূর্ণ হত না। কিন্তু সজনীকান্ত একসময় রবীন্দ্র-বিদূষণে শালীনতার সমস্ত সীমারেখা লঙ্ঘন করেছিলেন। সারস্বত জীবনের উত্তরপর্বে রবীন্দ্রনাথ মর্মান্তিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন সজনীকান্তের কাছেই। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ অপরিসীম স্নেহ বশে তার এই ‘রাবণভক্তটির চিত্ত জয় করেছিলেন। জীবনের শেষ প্রান্তে গুরুশিষ্যের সম্পর্কের অন্তরঙ্গতা অকৃত্ৰিম আন্তরিকতায় হৃদয়গ্রাহী হয়ে छट्टैश्व्नि। গুরুশিষ্যের এই ব্যক্তি-সম্পর্কের উত্থানপতনের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে এই আলোচনা কতকগুলি পর্বে বিন্যাস্ত হয়েছে। ক. শৈশবে ও কৈশোরে সজনীকান্তের চিন্তায়-মননে রবীন্দ্রনাথ : সজনীকান্ত তখন বছর নয়-দশের বালক মাত্র, মালদহ জেলা ইস্কুলে পাঠরত, এই সময়ে গ্রীষ্মাবকাশে একদিন যোগীন্দ্রনাথ সরকারের সংকলিত একখানি বই তার হস্তগত হয়। গোড়া থেকে বইটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে পড়তে হঠাৎ একটি কবিতা চোখে পড়ে যায় সজনীকান্তের। কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের লেখা— “দিনের আলো নিবে এল, সূর্য ডোবে ডোবে। আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে চাদের লোভে লোভে। এই প্রসঙ্গে সজনীকান্ত লিখেছেন—‘সামান্য একটি কবিতা, ধরনধারণ যে খুব অচেনা তা নয়, কথাগুলাও নুতন নয়— কিন্তু মনে কোথা হইতে একটা নূতন রঙ ধরিল, একটা অপরূপ সুরের মূছনা লাগিল। এ যেন একান্ত আমারই কথা। এমন করিয়া আমার মনের কথা এতদিন পর্যন্ত তো আর কাহাকেও বলিতে শুনি নাই! তলায় নাম సె (t