পাতা:এলিজিবেথ.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४ ९ ९ - «tafστπει করিতে করিতে তাহার অনুবর্তী হইয়া ফিরিতে হইবেক । একান্ত নিরাশ হইয়1, ‘‘ ছ। এলিজিবেথ ! আমার প্রাণাধিক প্রিয়তম৷ এলিজিবেথ কোথা গেল বলিয়। নিরস্তর আর্তদান করিলেও অার তো অামার এলিজিবেথ তাহাতে কর্ণপাত করিবেন না ?” . পিতার মুখহইতে এই সমস্ত বিলাপ বাক্য শ্রবণ করিতে করিতে এলিজিবেথ হতজ্ঞান ও মূৰ্ছিত প্রায় হইয়। কুটীরের ভিত্তি অবলম্বন করিয়া দাড়াইলেন। তাহার পিতা । তাহাকে শোকে নিতান্ত অভিভূত দেখিয়। অধৈর্য্য ও কীতরতার নিমিত্ত আপনাকে যৎপরোনাস্তি ধিক্কার দিতে লাগিলেন । অবশেষে অতি প্রশান্ত স্বরে কন্যাকে সম্বোধন করিয়া কহিতে লাগিলেন, “ বৎসে ! এক্ষণে সাহস ও ধৈর্য্য অবলম্বন কর । প্রতিজ্ঞা করিয়া কহিতেছি, তোমার প্রস্থতিকে যদি একান্তই সাজ্জ্বন করিতে না পারি, অন্ততঃ তিনি যাহাতে ধৈর্য্যপুৰ্ব্বক তোমার অসহ বিরহযন্ত্রণ সহ করিতে সমর্থ হন, আমি তদ্বিষয়ে উৎসাহ দিতে কিছু মাত্র ক্রটি করিব না। অার এমন কথাও বলিতে পারি যে, তোমার প্রত্যাগমন পর্য্যন্ত তোমার প্রস্থতিকে প্রাণে প্রাণে বাচাইয়। রাখিতেও সমর্থ হইব । দৃঢ় বাক্যে কহিতেছি, তোমার এই শুভ যাত্রা সফল হউক অার নাই হউক, তোমার জননী তোমার সহিত পুনৰ্ব্বার দেখা সাক্ষাৎ না করিয়া প্রাণত্যাগ করিবেন না ।” এই সমস্ত কথা বলিয়। স্পৃিঙ্গর সেই ধৰ্ম্মপ্রবর্তক মহাশয়ের দিকে ফিরিয়া দাড়াইলেন এবং দেখিলেন যে তিনি সেই শোকস্থানের কিছু দূর অস্তরে অধোবদনে দণ্ডায়মান রহিয়াছেন। অনন্তর তিনি অতি সন্ত্রম বাক্যে উচ্চ স্বরে সম্বোধন করিয়া কছিলেন, “ ধৰ্ম্মপিতঃ ! আমি এই অমুল্য রত্নটি আপনার হস্তে সমর্পণ করিলাম। যহকে অমি