পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়ে। হঠাৎ তার মনে পড়ে যায় স্কুলজীবনে ‘গোরা উপন্যাসটি সম্পূর্ণ স্বহস্তে নকল করবার সময় একটি বৈজ্ঞানিক ভুল তার নজরে সময়ের হিসাব না রাখিয়াই লিখিয়াছিলেন।” (“আত্মস্মৃতি’, সুবর্ণরেখা সংস্করণ পৃ. ৮১) ‘গোরা'র ষষ্ঠ অধ্যায়ের একস্থানে ছিল,—“ক্ষণকালের জন্য রমাপতি চাহিয়া দেখিল, গোরার সুদীর্ঘ দেহ একটা দীর্ঘতর ছায়া ফেলিয়া মধ্যাহ্নের খররৌদ্রে জনশূন্য তপ্ত বালুকার মধ্য দিয়া একাকী ফিরিয়া চলিয়াছে।” ‘মধ্যাহ্নের খররৌদ্রে’ ছায়া দীর্ঘতর হতে পারে না— এই মর্মে তিনি কবিকে একটি পত্ৰযোগে সবিনয়ে তাই নিবেদন করেছিলেন সঙ্গে পূর্বোল্লিখিত কবিতাটিও পাঠিয়েছিলেন। কবির উত্তর আসে ৫ মার্চ ১৯২২ | [ দ্র, রবীন্দ্রনাথ-লিখিত পত্র সংখ্যা ১। সূত্র—১ ] খ, “শনিগ্রহের মঙ্গল গ্রহ বি. এসসি. পাঠ শেষ করে সজনীকান্ত প্রথমে গিয়েছিলেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষালাভের জন্য। কিন্তু দেড় মাস কাল সেখানে থেকে ভালো না লাগায় কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন এবং সেইসঙ্গে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে, সায়েন্স কলেজে পদার্থবিদ্যায় (তাপ) নিয়ে ভর্তি হলেন। স্নাতকোত্তর চিঠি’র যোগানন্দ দাসের পরিচয় হয়— এবং তার পরেই তিনি পাকাপাকি ভাবে বিজ্ঞান সরস্বতীকে বিদায় দিলেন। এখানেই তার কলেজী বিদ্যার সমাপ্তি ঘটে। ৯ ৯