পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইত্যবসরে একাদশ সংখ্যা শারদীয় “শনিবারের চিঠিতে প্রকাশিত হয় ‘কামস্কাটকীয় ছন্দ। যার শেষ কবিতা ‘অসমছন্দ তুমুল আলোড়নের সৃষ্টি করে। বিদ্রোহী কবিতা ‘ব্যাঙ’ প্রকাশিত হল। একদিন গভীর রাতে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ডেকে পাঠালেন সজনীকান্তকে— প্রশ্ন করেছিলেন : ‘কামস্কাটকীয় ছন্দ তোমার লেখা? সদর্থক উত্তর পেয়ে লেখার প্রশংসা করে বলেছিলেন, কিন্তু এসব বাজে কাজে সময় নষ্ট না করে বিশ্বভারতীর সেবায় পুরোপুরি লেগে গেলে কতকটা স্থায়ী কাজ হতে পারে। । এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক জগদীশ ভট্টাচার্য লিখেছেন– “সজনীকান্ত বিশ্বভারতীর সেবার চেয়ে শনিবারের চিঠির পরিচর্যাকেই অধিকতর বাঞ্ছনীয় মনে করলেন, সুতরাং বিশ্বভারতীর আশ্রয় ত্যাগ করতে হল।’ (‘রবীন্দ্রনাথ ও সজনীকান্ত, পৃ. ২২)। এবার তার সহায় ও সঙ্গী হলেন যোগানন্দ দাস। অষ্টম সংখ্যা থেকেই সজনীকান্ত ‘শনিবারের চিঠি’র লেখক। কিন্তু সাতাশ সংখ্যা প্রকাশিত হবার পরে সাপ্তাহিক “শনিবারের চিঠি’ ৯ ফাল্গুন ১৩৩১ পঞ্চভূপ্রাপ্ত হল। ‘চিঠি’র পঞ্চভূপ্রাপ্তি সজনীকান্তের পক্ষে মর্মান্তিক হয়ে দেখা দিল। এবং তার এই আর্থিক সংকটের সময় রবীন্দ্রনাথের আবির্ভাবে, সজনীকান্তের জীবনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল। ১৩৩১ আগ্রহায়ণ থেকে ‘প্রবাসী’তে রবীন্দ্রনাথের পশ্চিম-যাত্রার কাহিনী প্রকাশিত হয়। কিন্তু মাঘ ১৩৩১ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়ে তা বন্ধ হয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ ৫ ফাল্গুন ১৩৩১ (১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯২৫) দক্ষিণ আমেরিকা সফর সেরে দেশে ফিরেছিলেন। কবির দেশে প্রত্যাগমনের সঙ্গে সঙ্গে প্রবাসীর সম্পাদকীয় তাগাদা শুরু হয়। এই সময় কবি > ○ >