পাতা:পথ ও পথের প্রান্তে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথে ও পথের প্রান্তে - sరి ® ዓ তুমি রেগে বসে আছ বরানগরে, আর আমি রেগে বসে অাছি শান্তিনিকেতনে। মাঝখানে ৯৯ মাইলের ব্যবধান ব’লে কোনো অপঘাতের সম্ভাবনা নেই । তোমরা মেয়েরা আজকাল কাগজে প্রায় নিজেদেরই দয়ামায়াপ্রবণ চিত্তবৃত্তি এবং মাতৃধম নিয়ে প্রবন্ধ লিখতে ব্যস্ত আছ, তা না করে যদি অবসর মতো দুই একখানা দেড় পৃষ্ঠা আন্দাজ চিঠি লিখতে তাহলে রোগদুঃখসস্তপ্ত সংসারে অনেকখানি সাম্বন দিতে পারতে । চার পয়সা দামের একখানা প্রশ্ন যে, শরীরটা আছে কেমন, তার সঙ্গে তুটো লাইন অত্যুক্তি জুড়ে দেওয়৷ যে, খবর না পেয়ে উৎকণ্ঠায় দিন যাপন করছি—এর মূল্য চার পয়সা ছাড়িয়ে কত সংখ্যায় গিয়ে পৌছয় তার সীমা নেই।— আমার বোলপুরযাত্রার প্রথম দিনকার খবরটা বিবৃতির যোগ্য। সেক্রেটরি উচ্ছসিত কণ্ঠে বললেন, রস্থলপুরবলতে বলতে দুই চক্ষু ভাবাবেশে মুদে এল। পৌছলুম রসুলপুরে, অপরাহ্লের রৌদ্রে বেনারসির সাড়ির আঁচলা জড়িয়ে দিয়েছে বনশ্রীর শু্যামলচিক্কন দেহ ঘিরে। এ কথা সত্য যে রেল-ডিঙোনে উধ্বসেতুর ঔদ্ধত্য নেই সেখানে। পদচালনা করে স্টেশন ঘর পর্যন্ত যেতে যেতে মনে হোলো বুক বিদীর্ণ হয়ে যাবে। শেষের দশ পা বাকি থাকতে পড়ে গেলুম অসমর্থ দেহে । এই প্রথম পতন—শেষ পতনে গিয়ে পৌছবার