পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসুর রজনী হল উতলা গল্পে। পরের মাসে অর্থাৎ ১৩৩৩ আষাঢ়ের ‘কল্লোল’-এ প্রকাশিত হয় অচিন্তকুমার সেনগুপ্ত-এর রচনা ‘গাব আজ আনন্দের গান’। শ্রাবণের ‘কল্লোল’এ যুবনাশ্ব (মণীশ ঘটক) লিখলেন ‘পটলডাঙার পাঁচালি’, ফাল্লুনের ‘কল্লোল’-এ প্রকাশিত হল বুদ্ধদেব বসুর ‘বন্দীর বন্দনা’ এবং ১৩৩৩ জ্যৈষ্ঠ-এর ‘কলিকলম”-এ নজরুলের ‘মাধবীপ্রলাপ’। ‘শনিবারের চিঠি’র বক্তব্যকে বহু রচনার মাধ্যমে স্পষ্টতর করেছেন ‘সত্যসুন্দর দাস’ ছদ্মনামে মোহিতলাল মজুমদার। সজনীকান্ত আত্মস্মৃতিতে লিখেছেন তাদের অভিযোগ অশ্লীলতার বিরুদ্ধে ছিল না ; তাদের অভিযোগ ছিল বিকৃত যৌনবোধের বিরুদ্ধে সজনীকান্ত ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে ২৩ ফালুন সাময়িক সাহিত্যের বর্ণনা করে রবীন্দ্রনাথের কাছে একটি সুদীর্ঘ পত্র লেখেন। ২৫ ফাল্গুন ১৩৩৩ রবীন্দ্রনাথ উত্তরে লেখেন “আধুনিক সাহিত্য আমার চোখে পড়ে না।... সুসময় যদি আসে আমার যা বলবার বলব।” প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে লিখেছেন– “এই সময়ে ‘কবির মন ঋতুরঙ্গশালার মধ্যে ডুবিয়া আছে; তাই বোধহয় বিতর্কমূলক রচনায় মন গেল না।” (রবীন্দ্রজীবনী ৩, পৃ. ৩০৭) রবীন্দ্রনাথের এই পত্রের ভাষ্য পাঠ করে অচিন্তকুমার সেনগুপ্ত তার ‘কল্লোলযুগ’-এ লিখেছেন “রসিকতাটা বুঝতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।” হয়তো তাই! রসিকতার মর্ম বুঝে রবীন্দ্রনাথ আমল হোম ও সজনীকান্তকে সমর্থন করেই লিখলেন “সাহিত্য-ধৰ্ম্ম প্রবন্ধটি। প্রচণ্ড বিতর্ক সৃষ্টিকারী এই প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয় উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়সম্পাদিত ‘বিচিত্রায় শ্রাবণ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে। এই বিতর্কের প্রতিবাদ করে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় পরবর্তী সংখ্যার বিচিত্রায়। ১৩৩৪ ভাদ্র ‘বিচিত্রায় > OQ