পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই সময়ে, অর্থাৎ ১৯২৮-এর প্রথমার্ধে‘কলিকাতা মহাকরণিকে বাংলা অনুবাদক পদের জন্য প্রার্থী আহ্বান করে সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। 劇 সজনীকান্ত তখন ‘প্রবাসী’ আপিসে স্বল্প মাইনের চাকুরিরত। আত্মীয়-স্বজনের উদ্যোগে সজনীকান্তও উক্তপদের জন্য দরখাস্ত করতে উদ্যত হন। কিন্তু ওই পদের জন্য দরখাস্তের সঙ্গে প্রশংসাপত্ৰ আবশ্যক। সজনীকান্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ও সুনীতিকুমার দিয়েছিলেন। এতৎসহ, পরিজনবর্গের পরামর্শ রবীন্দ্রনাথের ‘কলম’ হইতে সামান্য কিছু অবশ্যম্ভাবী। (দ্র, ‘আত্মস্মৃতি’, পৃ. ১৪৬) অতএব, নটরাজ পর্বের পরেও লজ্জার মাথা খেয়ে সজনীকান্ত রবীন্দ্রনাথের কাছে একটি পথযোগে প্রশংসাপত্র প্রার্থনা করলেন। পত্রে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯২৮-এর মধ্যে প্রশংসাপত্ৰ সজনীকান্তের হস্তগত হওয়া চাই এই তথ্যও তিনি কবিকে জানিয়েছিলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯২৮ নিম্পত্র চারছত্রের ইংরেজী রচনায় রবীন্দ্রনাথের সহিসংবলিত একটি শংসাপত্র ১৩/২/১৯২৮ তারিখে লিখিত, সজনীকান্তের হস্তগত হয়। (দ্র, রবীন্দ্রনাথের পত্র ৬) গেলেন। এবং স্থির করেছিলেন যে রবীন্দ্রনাথের শংসাপত্রের অপমান ঘটতে দেবেন না। সুতরাং সেই শংসাপত্র অদ্যাবধি অপ্রেরিতই রইল। নটরাজ পর্বের রেশ মিটতে-না-মিটতেই “শনিবারের চিঠি’র দৃষ্টি পড়েছিল প্রমথ চৌধুরীর ওপর। প্রমথ-বিদূষণের গোড়াপত্তন হল ১৩৩৫ সালের বৈশাখের “শনিবারের চিঠিতে। তৎকালীন সম্পাদক নীরদচন্দ্র চৌধুরী বেনামীতে লিখলেন—“শ্রীযুক্ত প্রমথ চৌধুরী— পেন্সিল ড্রয়িং”,– “র্তাহার > > २