পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হবেন। কিন্তু তাদের এই আশায় বাধা হলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের খাস ১৩৩৫ শ্রাবণের ‘বিচিত্ৰা”-য়। বলাবাহুল্য রচনাটি শনিগোষ্ঠীকে খোচা দিয়েই রচিত হয়েছিল। সজনীকান্তের ভাষায় “রবীন্দ্রনাথের কলমচীর খোচা খাইয়া আমাদের উত্তপ্ত মগজ উত্তপ্ততর হইয়া উঠিল ;”। (আত্মস্মৃতি’, পৃ. ১৬৪) 豪 ইতিমধ্যে ‘সাহিত্য-ব্যবসায় প্রবন্ধের রচয়িতা যে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ —এই জনরব রবীন্দ্রনাথের নিকট পৌছল। ১৩৩৫ শ্রাবণের দশ দফায় অমিয় চক্রবর্তীকে একরূপ ‘নিকেশ’ করে সর্বশেষে” লিখলেন— “ভবিষ্যতে অমিয় বাবু কিছু লিখিলে, আমাদের অনুরোধ যেন তিনি রবীন্দ্রনাথের ভাষা অলঙ্কার ও ভাবের বৃথা অনুকরণের চেষ্টা না করেন।...” (‘আত্মস্মৃতি’, পৃ. ১৬৪) ওই সংখ্যাতেই মোহিতলাল মজুমদার লিখেছিলেন “অমিয়চন্দ্র চক্রবর্তী বনাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর” শীর্ষক একটি প্রবন্ধ। ১৯২৯-এর ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ জুলাই, (১৩৩৫ ফালুন-১৩৩৬ আষাঢ়), চার মাস আটদিনের জন্য রবীন্দ্রনাথ পুনরায় বিদেশ যাত্রা করেন। এবার তিনি কানাডা ও জাপান পরিভ্রমণ করেন। রবীন্দ্রনাথের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অল্পদিনের মধ্যে ১৩৩৬ একটি পত্রকবিতা। রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্যে তার এই অর্ঘ্য কিন্তু শেষ পর্যন্ত কবির চরণ স্পর্শ করে নি। উপরন্তু এইবার “শনিবারের চিঠি’র প্রতি চরম আঘাতটি এল স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকেই। S > (t