পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব বসু তার ছয়টি কবিতা ও দিলীপকুমার রায় তার কয়েকটি কবিতার অংশবিশেষ আপন আপন মন্তব্য সহ রবীন্দ্রনাথকে পড়তে পাঠিয়েছিলেন। কবির সেই কবিতাগুলি পড়ে ভালো লেগেছিল। এবং তিনি তার অভিজ্ঞতাটুকুকে প্রবন্ধকারে রূপ দিলেন। প্রবন্ধটি ‘নবীন কবি’ শিরোনামে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের কার্তিকের ‘বিচিত্রায় প্রকাশিত হয়। এই প্রবন্ধে তিনি “শনিবারের চিঠি’র প্রতি ইঙ্গিত ক’রে ‘সাহিত্যিক মোরগের লড়াই কথাটা ব্যবহার করলেন, এবং এইসঙ্গে লিখলেন, “এই লড়াইয়ে কোনোদিন আমি যোগ দিই নি, যদিও খোঁচা অনেক খেয়েচি।” এই প্রসঙ্গে সজনীকান্ত লিখেছেন– “আমাদের বয়স ছিল কম, রক্ত ছিল গরম। পূর্বের “সজনে ফুল” ও “মুরগী’র ঘা মনে ছিল, দিল।” (“আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৩৪৫) এই জ্বালার ফলে সজনীকান্ত শনিবারের চিঠি’ মাঘ ১৩৩৮, ‘জয়ন্তী-সংখ্যায় শালীনতার সীমা শোচনীয়ভাবে লঙ্ঘন করেন। এই সংখ্যার গোড়ায়, মোহিতলাল মজুমদারের ‘কবি-বরণ’ নামে একটি প্রশস্তি কবিতা ও সমাপ্তিতে সজনীকান্তের ‘রবীন্দ্রনাথ’ নামে আরও একটি প্রশস্তি কবিতা ছাড়া প্রতিটি লেখাই তীব্র, তীক্ষ, উগ্র ব্যঙ্গ বিদূষণে পূর্ণ। ‘জয়ন্তী’ সংখ্যা শনিবারের চিঠি’র প্রকাশের পূর্বে ১৩৩৮ অগ্রহায়ণে “শনিবারের চিঠি’তে সজনীকান্ত লিখলেন ‘জয়ন্তী’ কবিতা। এই কবিতাটিও তীব্র-ব্যঙ্গবিদ্রুপে পরিপূর্ণ। জয়ন্তী সংখ্যা প্রকাশের পরেও বহুদিন ধরে “শনিবারের চিঠিতে রবীন্দ্র-বিদূষণ অব্যাহত ছিল। “সবচেয়ে ক্ষতি-কারক ছিল পত্রিকা-র প্রথম প্রবন্ধ হিসাবে মোহিতলাল মজুমদারের > S సె