পাতা:চিঠিপত্র (ঊনবিংশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লেখাগুলি। গুরুগম্ভীর সমালোচনার নামে মোহিতলাল সুকৌশলে রবীন্দ্র-বিরোধিতা মাসের পর মাস চালিয়েছিলেন।” (“রবীন্দ্রনাথ ও সজনীকান্ত”, পৃ. ১১১) এই বিদ্রুপের ফলাফল নিয়ে সজনীকান্তের মন্তব্য লক্ষণীয়— “আমাদের আহত ভক্তি ও অভিমানটাই যে ব্যঙ্গ-বক্রোক্তিতে রূপান্তরিত হইয়াছিল, এই সহজ কথাটা সাধারণ পাঠক তো বুঝিলই না, রবীন্দ্রনাথও বুঝিয়াও বুঝিলেন না। ব্যবধান দুস্তরতর হইয়া উঠিল।” (“আত্মস্মৃতি’, পৃ. ৩৪৫) ঙ। “রাজহংসের কবি সজনীকান্ত” ১৩৪২ বঙ্গাব্দের চৈত্ৰ-মাসে সজনীকান্তের ‘রাজহংস’ কাব্যগ্রন্থখানি প্রকাশিত হয়। ষন্মাত্রিক ধ্বনিপ্রধান মুক্তবন্ধ ছন্দে রচিত ‘রাজহংস’। ‘রাজহংস প্রকাশিত হওয়ার পরে সজনীকান্তের অন্তরঙ্গ বন্ধু প্রমথনাথ বিশীর অনুরোধে সজনীকান্ত রবীন্দ্রনাথের কাছে একটি বই পাঠিয়েছিলেন। সেই সময় সজনীকান্তের “শনিবারের চিঠিতে রবীন্দ্র-বিদূষণের কারণে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বহুদিনের ব্যবধান তৈরি হয়েছিল। তৎসত্ত্বেও বন্ধুর অনুরোধকে উপেক্ষা করা সম্ভব হয় নি সজনীকান্তের পক্ষে। এই সম্পর্কে সজনীকান্ত লিখেছেন–পুস্তক প্রেরণের সপ্তাহকাল মধ্যে তিনি প্রমথনাথ বিশী ] তাহাকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের নিম্নলিখিত পত্রটি আমার নাকের উপর ধরিয়া প্রনাবিক হাসি হাসিলেন।” (“আত্মস্মৃতি, পৃ. ৪৬১)। পত্রটির কিয়দংশ উদ্ধৃত হল :– Տ Հ O